চুলের ডগা ফেটে যাওয়া বা চুল ঝরার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেল একটি গুরুত্পূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ছবি-সংগৃহীত
ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্ন নিতে চুলকে পুষ্টি দেওয়া জরুরি। এখন অনেকেই চুলে তেল মাখতে চান না। শ্যাম্পু, হেয়ার স্পা, কন্ডিশনিং করার প্রতি ঝোঁকটা বেশিই দেখা যায়। তবে চুলে তেল মালিশের পর শ্যাম্পু করার বড় ঝক্কি আচ্ছে। সেই কারণে অনেকেই চুলের যত্নে তেল ব্যবহার করতে চান না। কিন্তু চুলের ডগা ফেটে যাওয়া বা চুল ঝরার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেল একটি গুরুত্পূর্ণ ভূমিকা পালন করে। না, তবে বাজার চলতি তেল কিনে চুলে ব্যবহার করলে কতটা উপকার পাওয়া যাবে, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তা হলে উপায়? পুজোর আগে চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে কোন তেল ব্যবহার করবেন?
১) অ্যালো ভেরার তেল
রূপচর্চায় অ্যালো ভেরা খুবই উপকারী। চুলের যত্নেও। নিয়মিত অ্যালো ভেরার তেল চুলে ব্যবহার করলে চুল শক্তিশালী হয়।কী ভাবে বানাবেন?অ্যালো ভেরার পাতা কেটে জেল বার করে নিন। আধ কাপ অ্যালো ভেরা জেল আর আধ কাপ নারকেল তেল মিশিয়ে নিয়ে হালকা আঁচে মিনিট পাঁচেক গরম করতে দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে পরিষ্কার একটি শিশিতে ঢেলে রাখুন।
২) জবার তেল
জবাতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান, যা চুল লম্বা হতে সাহায্য করে।
কী ভাবে বানাবেন?
জবা গাছের কিছু পাতা আর দুটি জবা ফুল নিন। ভাল করে ধুয়ে গ্যাসের আঁচে শুকিয়ে নিন।এ বার একটি পাত্রে আধ কাপ নারকেল তেল, আধ কাপ কাঠবাদাম তেল, শুকিয়ে রাখা জবা পাতা ও ফুল একসঙ্গে মিশিয়ে হালকা আঁচে মিনিট পাঁচেক গরম করুন। ঠান্ডা হয়ে এলে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিয়ে শিশিতে ভরে নিন।
৩) ঘরে তৈরি নারকেল তেল
একটি বাটিতে এক কাপ নারকেল তেল, এক কাপ অ্যালো ভেরা জেল, আধ কাপ জল, দু’টেবিল চামচ মধু, এক চা চামচ ল্যাভেন্ডার তেল , এক চা চামচ অ্যাভোকাডো তেল একসঙ্গে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। একটি ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নিন। ঠান্ডা হয়ে এলে চুলে মালিশ করুন। উপকার পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy