যত্নে ত্রুটি থাকছে না তো? ছবি: সংগৃহীত।
নানা ধরনের শ্যাম্পু, ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করেও স্কুলপড়ুয়া মেয়ের চুল ঝরা আটকাতে পারছেন না অদিতি। কেন এমন হচ্ছে সেই চিন্তায় এ বার নিজেরই চুল উঠতে শুরু করেছে তাঁর। মেয়ের চুলে তেল মালিশ করে দেওয়া থেকে শ্যাম্পু করানো— সব কিছুই নিজের হাতে করেন অদিতি। নিজের লম্বা চুলের স্বপ্নপূরণ হয়নি। তাই তিনি চান মেয়ের যেন কোমরছাপানো চুল হয়। কিন্তু কোথায় কী! চুল লম্বা হলেও ক্রমশ পাতলা হয়ে যাচ্ছে। যত্নে কোথায় ত্রুটি হচ্ছে সেটা নিয়েই ভেবে চলেছেন তিনি। অদিতির মতো এই ভাবনা আরও অনেক মায়েদের। ১৮ বছর হওয়ার আগেই যদি এই হারে চুল ঝরে, তা হলে পরে কী হবে সেটা সত্যিই আশঙ্কার। আসলে কৈশোরে চুল ঝরার নেপথ্যে নির্দিষ্ট কিছু কারণ থাকে। সেগুলি এক বার জেনে নেওয়া জরুরি।
বংশগত
পরিবারে কারও যদি চুল পড়ার সমস্যা আগেই থেকে থাকে, তা হলে কৈশোরেই চুল ঝরা শুরু হতে পারে। ছেলেদের টাক পড়ে যাওয়ার নেপথ্যেও অনেক ক্ষেত্রে পারিবারিক ইতিহাস জড়িয়ে থাকে।
সঠিক পুষ্টির অভাব
শুধু শরীর নয়, চুল এবং ত্বক ভাল রাখতেও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। শরীরে পুষ্টির ঘাটতি চুল পড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কিছু উপাদান চুল মজবুত এবং শক্তিশালী করে তোলে। জিঙ্ক, আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিনে সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে চুল ঝরা আটকাতে।
যন্ত্রের ব্যবহার
কম বয়সে চুলের সাজ নিয়ে নানা পরীক্ষানিরীক্ষা করতে দেখা যায় অনেককেই। স্ট্রেটনার, ড্রায়ার, কার্লারের অত্যধিক ব্যবহারে চুল অঝোরে ঝরতে থাকে। এ ছাড়াও চুল রং করা কিংবা আঁটসাঁট করে চুল বাঁধাও ক্ষতির অন্যতম কারণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy