সন্তানদের সঙ্গে থাকতে থাকতে তাদের মায়েদের মধ্যেও সখ্য গড়ে ওঠে। স্কুলে অন্য সেকশনে কী পড়ানো হচ্ছে, কে কাকে মেরেছে কিংবা কে কার টিফিন খেয়ে নিয়েছে— এ সংক্রান্ত কথা যেমন হয়, তেমনই ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে রাস্তার ধারে কিংবা গাছতলায় বসে তাদের মায়েরা সুখ-দুঃখের আলাপ-আলোচনা করেন। খাওয়াদাওয়াও হয় ভাগাভাগি করে। একসঙ্গে ঘুরতে যান, কেনাকাটাও করেন অনেকে।
রিল্যায়ান্স ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান মুকেশ এবং রিল্যায়ান্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন নীতা অম্বানীর জ্যেষ্ঠপুত্র আকাশ। প্রয়াত অভিনেতা ঋষি এবং অভিনেত্রী নীতু কপূরের পুত্র রণবীর। দুই বাড়ির দুই ছেলের মধ্যেও দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্ব। তাই বলে ছেলেদের মায়েদের মধ্যে নিজেদের পোশাক আদানপ্রদান করার মতো সখ্য কি রয়েছে? প্রশ্নটা হঠাৎ কেন উঠল, আগে তা খুলে বলা যাক।
নীতা বা নীতু দু’জনেই তা ভুলে যেতে পারেন। কিন্তু সমাজমাধ্যমে নজর পেতে বসে থাকা নিন্দকেরা সে সব ভোলেন না। লম্বাঝুলের কালো রঙের কুর্তার গলায় ঠাসা সোনালি রঙের জারদৌসি কাজ। গোটাপট্টি এবং জরির লেস দেওয়া পোশাকের প্রান্তে। কালো রঙের ওড়নায় সবুজ পাড়। তার উপর সূক্ষ্ম সোনালি জরির কাজ। সঙ্গে সবুজ রঙের পালাজ়ো। ট্রাউজার্সের তলার দিকে স্কার্টবর্ডারের পাড়। হ্যাঁ, হুবহু এক! পোশাকশিল্পী অনুরাধা ওয়াকিলের তৈরি এই পোশাকই নীতার পরনে দেখা গিয়েছিল বছর দশেক আগে।

ছবি: সংগৃহীত।
রাজ কপূরের দৌহিত্র এবং রণবীর, করিশ্মা, করিনা কপূরদের পিসতুতো ভাই অভিনেতা আদর জৈনের বিয়ের অনুষ্ঠান। সেখানে অভিনেত্রী নীতু কপূর এসেছিলেন কালো রঙের একটি সালোয়ার স্যুট পরে। এখন মুশকিল হল, সেই একই পোশাক পরে বছর দশেক আগে নীতা অম্বানীকে দেখা গিয়েছিল অন্য একটি অনুষ্ঠানে।
তারকাদের সাধারণত এমন ভুল হয় না। এক পোশাক পরে তাঁরা সচরাচর জনসমক্ষে আসেন না। ইদানীং তুলনায় সাধারণ বিত্তের মানুষেরাও এই বিষয়ে সচেতন হয়ে পড়েছেন। স্বাভাবিক ভাবে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে, তা হলে কি ছেলেদের মতো তাঁদের মায়েদের বন্ধুত্বও এমনই গভীর যে, দু’জন দু’জনের কাছে পোশাক চেয়ে পরতে পারেন? এই ‘পোশাক-বিভ্রাট’ দেখে রীতিমতো চর্চা শুরু করে দিয়েছেন নিন্দকবর্গ।