লাল, সাদা, হলুদ এবং গোলাপি, রকমারি রূপে আবির্ভাব হয় তার। গৃহস্থের বাড়ির বাগানে যত্রতত্র ফুটে থাকে এই ফুল। কালী পুজোর নিত্যসামগ্রীর অঙ্গ। কিন্তু জানেন কি, জবাফুলের প্রভূত উপকারিতাও রয়েছে।
দেশের নামকরা এক সালোঁর সহ-প্রতিষ্ঠাতা কুরাত সৈয়দ দেশমুখ জবাফুলের বৈশিষ্ট্য নিয়ে বলেন, ‘‘‘বোটক্স উদ্ভিদ’ হিসেবেও পরিচিত জবা। বার্ধক্য প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে এই ফুলের। অর্থাৎ ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া থেকে আটকায়। এই ফুল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, এএইচএ (আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড) এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা প্রাকতিক ভাবে ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ (এক্সফোলিয়েশন) করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ত্বক টান টান রাখে, ত্বকে আর্দ্রতার অভাব মেটায় এবং ব্রণ নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা পালন করে।’’
কসমেটোলজিস্ট গগন রায়নার কথায়, ‘‘জবা ফুলের ফেশিয়াল করলে ত্বকে আশ্চর্যজনক বদল লক্ষ করা যায়। কারণ, এর মধ্যে ত্বকের উন্নতির জন্য প্রচুর উপাদান রয়েছে। যেগুলির মধ্যে প্রথম, আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড, যা মৃদু ভাবে মৃত ত্বকের মৃত কোষ দূর করে। দ্বিতীয়, অ্যান্টিঅক্সিড্য়ান্ট, যা পরিবেশগত ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। তৃতীয়, প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ়ার ,যা ত্বককে নরম এবং কোমল রাখে। এই উপাদানগুলির জন্যই ত্বকের জন্য মহৌষধ এই ফুল।’’
বাড়িতেই জবাফুল দিয়ে ফেশিয়াল (হিবিস্কাস ফেস মাস্ক) তৈরি করে নিতে পারেন। প্রয়োজন কেবল চারটি উপকরণ। পার্লারে গিয়ে বিস্তর টাকা খরচ করার দরকার নেই। নীচে দেওয়া হল ফেসপ্যাক তৈরির সহজ উপায়।

ছবি: সংগৃহীত।
উপকরণ- ২ টেবিল চামচ শুকনো হিবিস্কাস পাউডার (অথবা জবার পাপড়ির গুঁড়ো), ১ টেবিল চামচ দই (হাইড্রেশন এবং মৃত ত্বক অপসারণের জন্য), ১ চা-চামচ মধু (আর্দ্রতা বৃদ্ধি এবং জীবাণুনাশক বৈশিষ্ট্যের জন্য) এবং কয়েক ফোঁটা গোলাপজল অথবা দুধ।
প্রণালী- ধুলো, তেল, ঘাম এবং মেকআপ পরিষ্কার করতে প্রথমেই ভাল করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এ বার চোখের অংশটুকু বাদ দিয়ে বাকি মুখে মেখে ফেলুন এই মিশ্রণ। ১৫-২০ মিনিট প্যাকটি মেখে বসে থাকুন। ধীরে ধীরে সমস্ত উপকরণের পুষ্টিগুলি ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করার সময় পাক। তার পর হালকা এক্সফোলিয়েশনের জন্য আলতো করে মালিশ করুন। এ বার ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মুখ মুছে নিয়ে সব শেষে ময়েশ্চারাইজ়ার মেখে নিন।