গত বছরও তিনি ছোট ছবি ‘ক্যাবেজ’-এ অভিনয় করেছিলেন। দর্শক, সমালোচকেরা প্রশংসা করেছেন ছবির, অভিনেত্রী মুনমুন সেনেরও। এ বছর আবার তিনি ছোট ছবিতে। প্রিয়দর্শী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সহচরী’তে তিনি আর সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়। নতুন ছবি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাঁর দাবি, তিনি নিজের দুই মেয়ে ছাড়া বাকি অন্য কোনও অভিনেতা-অভিনেত্রীর মা বা মাসির চরিত্রে অভিনয় করতে পারবেন না!
‘সহচরী’তে কি অসমবয়সি বন্ধুত্বের গল্প? যোগাযোগ করে জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার ডট কম।
মুনমুনের কথায়, “বিষয়টি বলে দিলে ছবি দেখার আনন্দ মাটি। তাই আগাম কিচ্ছু জানাব না। ছোট ছবিতে বড় ভাবনা দেখানোর চেষ্টা করেছি আমরা। বাকিটা দর্শকদের উপরে ছেড়ে দিলাম। এটুকু বলতে পারি, আমি আর সুস্মিতা মিলে অভিনয় করেছি। আর কেউ নেই। এক দিনেই ‘সহচরী’র শুটিং শেষ।” সুস্মিতা এই প্রজন্মের অভিনেত্রী... কথা ফুরনোর আগেই ফোনের ও পারে উচ্ছ্বসিত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। জানালেন, খুব মিষ্টি। দারুণ সপ্রতিভ। সাবলীল অভিনয় করেন সুস্মিতা। একটু থেমে যোগ করেছেন, “আমরা একদিনই কাজ করেছি। এর বেশি আর কী-ই বা বুঝব?” নাম নিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়েরও। “যেমন সুন্দর দেখতে তেমনই ধারালো অভিনয়। নিশ্চয়ই ওর সঙ্গেও কাজ করব কোনও না কোনও দিন”, আশা সুচিত্রা সেন-কন্যার।
আরও পড়ুন:
মুনমুন মানেই আশির দশক। তাপস পাল, চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী, ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তারকা অভিনেতাদের সঙ্গে একের পর এক হিট ছবি। বহু বছর তিনি বড় পর্দা থেকে দূরে। আর ফিরবেন না? খুব শান্ত গলায় ধীরে ধীরে বললেন, “আমাদের বয়সি অভিনেত্রীদের উপযুক্ত চরিত্র বাংলা ছবিতে কোথায়? আমাদের ভেবে ছবি তৈরিও হয় না। ফলে, ছোট ছবিতে অভিনয় করে খুশি থাকতে হচ্ছে।” তা বলে এখনকার বাংলা ছবি তিনি দেখেন না, এমন নয়। “দেখি তো। শর্মিলা ঠাকুর অভিনীত ‘পুরাতন’ দেখেছি। বেশ ভাল লেগেছে। অপর্ণা সেন-অঞ্জন দত্ত অভিনীত ‘এই রাত তোমার আমার’। অন্য ধারার ছবি।”
পুরনো অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরই রমরমা। রাখি গুলজ়ার ফিরলেন ‘আমার বস্’ ছবিতে। মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় ‘আড়ি’তে। ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় ‘রক্তবীজ’ এবং তার সিক্যুয়েলে। চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীও সিরিজ়, ছবি মিলিয়ে বেশ ব্যস্ত। “ফিরতেই হবে”, সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিলেন মুনমুন। বললেন, “শর্মিলা, রাখি, মৌসুমী— প্রত্যেকে মায়ের চরিত্রে। আমি কিন্তু সকলের মা হতে পারব না। কেবল পর্দায় রাইমা বা রিয়ার মায়ের চরিত্রের জন্য ডাকলে রাজি।”