ছবি: সংগৃহীত।
ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পর টোনার স্প্রে করতে হয়। এ কথা সকলেই জানেন। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং পিএইচের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এই প্রসাধনীটি। ওপেন পোরসের সমস্যা থাকলেও তা নিরাময় করে। কিন্তু বাজারে তো বিভিন্ন ধরনের টোনার পাওয়া যায়। কার ত্বকের জন্য কোন ধরনের টোনার প্রয়োজন তা বুঝবেন কী করে? রূপচর্চা বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, তার আগে জেনে রাখা প্রয়োজন কত ধরনের টোনার বাজারে পাওয়া যায়।
১) অ্যালকোহল-বেস্ড টোনার:
নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এই টোনারে অ্যালকোহলের পরিমাণ বেশি। অ্যালকোহলজাতীয় টোনার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে, উন্মুক্ত পোরস টান টান রাখতেও সাহায্য করে। তবে ব্রণ থাকলে এই ধরনের টোনার ব্যবহার করতে বারণ করা হয়। দীর্ঘ দিন অ্যালকোহল দেওয়া টোনার ব্যবহার করলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
২) গ্লিসারিন-বেস্ড টোনার:
গ্লিসারিন বা গ্লাইকল-যুক্ত টোনার আবার শুষ্ক ত্বকের জন্য ভাল। ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই প্রসাধনীটি। ত্বকের ময়েশ্চার বেরিয়ার হিসাবেও দারুণ কাজের এই টোনারটি।
৩) ওয়াটার-বেস্ড টোনার:
অ্যাস্ট্রিনজেন্ট টোনারের বিকল্প হতে পারে এই ওয়াটার-বেস্ড টোনার। স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য এই ধরনের টোনার বেশ কাজের। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই প্রসাধনীটি।
ত্বকের ধরন অনুযায়ী কে কী রকম টোনার মাখবেন?
১) সাধারণ বা ‘নর্মাল’ ত্বক:
ত্বকের তেমন কোনও সমস্যা নেই। ত্বক তৈলাক্ত কিংবা শুষ্ক— কোনওটিই নয়। এমন ত্বকের জন্য অ্যালো ভেরা, গোলাপজল কিংবা ক্যামোমাইল-যুক্ত টোনার ব্যবহার করা যায়।
২) ব্রণভর্তি ত্বক:
তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের উপদ্রব খুবই স্বাভাবিক। এ ছাড়া ত্বকে লালচে ভাব, প্রদাহজনিত সমস্যাও থাকতে পারে। তেমনটা হলে স্যালিসিলিক বা গ্লাইকোলিক অ্যাসিড-যুক্ত টোনার ব্যবহার করাই যায়।
৩) শুষ্ক ত্বক:
ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হলে হায়ালুরনিক অ্যাসিড, গ্লিসারিন কিংবা গোলাপের নির্যাস দেওয়া টোনার ব্যবহার করতে পারেন। শুষ্ক ত্বক হলে অ্যালকোহল-যুক্ত টোনার ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়।
৪) স্পর্শকাতর ত্বক:
স্পর্শকাতর ত্বকে সব ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করা যায় না। চড়া সুগন্ধ বা অ্যালকোহল দেওয়া টোনার ব্যবহার না করাই ভাল। অ্যালো ভেরা জেল, ক্যামোমাইলের নির্যাস দেওয়া টোনার এই ধরনের ত্বকের জন্য ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy