‘প্রফেশনাল ওয়েডিং ডেস্ট্রয়্যার’ হতে গেলে কেমন যোগ্যতা থাকতে হবে? গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ইন্টারনেটে খুঁজলেও এই শব্দবন্ধের সঠিক অর্থ পাওয়া মুশকিল। তবে অভিধান ঘাঁটলে খানিকটা ঠাহর করা যায়। ‘প্রফেশনাল ওয়েডিং ডেস্ট্রয়্যার’ অর্থাৎ, বিয়ে পণ্ড করার জন্য পেশাদার লোক। এমন পেশার চাহিদাও নাকি এখন তুঙ্গে।
মা-কাকিমারা শুনলে অবশ্য বলবেন, এ আর নতুন কী? সেই কবে থেকে বিয়েতে ‘ভাংচি’ দেওয়ার রীতি চলে আসছে। বাপ-মায়ের পছন্দ করা ছেলে, বিদেশে থাকে। দুই বাড়িতেই মোটামুটি সব কিছু ইতিবাচক। হঠাৎ পাত্রীর দূরসম্পর্কের কোনও এক আত্মীয় ছেলের বাড়ি গিয়ে হাজির। কথায় কথায় তিনিই হয়তো এমন কিছু (ইচ্ছে করেই) বলে বসলেন যে বিয়ের কথায় সেখানেই ইতি পড়ে গেল। এ সব তো আকছার হত, এখনও হয়। কিন্তু এই ভাংচি দেওয়া যে রীতিমতো পেশা হয়ে দাঁড়াবে, তা কে জানত?
এই পেশায় আসতে চাইলে ঠিক কী কী জানতে হবে?
বিয়ে ভাঙতে জানতে হবে। ঠিক কী করলে বিয়ের মণ্ডপ থেকে পাত্র কিংবা পাত্রীকে তুলে নিয়ে চলে যাওয়া যায়, সে সম্পর্কেও ধারণা থাকতে হবে। এ সব কিছুর বদলে ভাল পারিশ্রমিকও মিলবে। প্রয়োজনে পাত্র কিংবা পাত্রীর পরিবারের কারও হাতে প্রহারও জুটতে পারে। তার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে। মারের বদলে মিলবে অতিরিক্ত অর্থ।
এ দেশে না হলেও বিদেশে এখন ‘প্রফেশনাল ওয়েডিং ডেস্ট্রয়্যার’দের রমরমা। চাকরি বা সাধারণ ব্যবসা না করে স্বাধীন, স্বতন্ত্র এই কাজ ফেঁদে বসেছেন স্পেনেরই এক তরুণ। নাম আরনেস্টো রেইনার্স ভারিয়া। সমাজমাধ্যমে মজা করে লেখা সাধারণ একটি পোস্ট যে এমন ভাবে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে সে কথা তিনি স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি।
বড় বড় ব্যবসায়ীরা হয়তো ভাবছেন, এ ব্যবসা থেকে আর কী এমন লাভ হবে? এই সুবিধা নিতে ক’টা লোকই বা আসবেন? আশ্চর্যের কথা হল, এই ব্যবসার পসার কিন্তু ভালই জমে উঠেছে। এই সুবিধা নিতে লাইন পড়ে যাচ্ছে ওই তরুণের অফিসে। বিবাহযোগ্য পাত্র-পাত্রীদের অনুরোধ রাখতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁকে। ওই তরুণ জানিয়েছেন, এ বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় সব দিনই বিয়ের ভাঙার কাজে তাঁর অগ্রিম বুকিং রয়েছে। পাঁচশো ইউরোর (ভারতীয় মুদ্রায় যা পঞ্চাশ হাজার টাকার কাছাকাছি) বিনিময়ে বিয়ের ভাঙার কাজ ব্যবসা জগতে বেশ ভালই সাড়া ফেলে দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy