প্রতীকী ছবি।
নতুন নতুন কায়দায় চুল কাটানোর ইচ্ছা অনেকেরই থাকে। কখনও ছোট চুলে, কখনও লম্বা। কখনও সনাতনী কায়দা, কখনও আবার হাল ফ্যাশনের কেতাদুরস্ত কায়দায়। কেউ প্রিয় ফুটবলরারের মতো চুল কাটাতে চান, কেউ আবার প্রিয় অভিনেত্রীর মতো।
কিন্তু চুল কাটাতে গিয়ে যদি উল্টোপাল্টা হয়ে যায়, তা হলে আপনার গোটা চেহারাই অন্য রকম হয় যেতে পারে। তখন আপশোসের অন্ত থাকবে না। তাই কোন সালোঁয় চুল কাটাবেন, কার কাছ থেকে কাটাবেন, সেই সিদ্ধান্ত ভাল করে ভাবনাচিন্তা করে নেওয়া উচিত। কিন্তু কী করে বুঝবেন কে আপনার চুল ভাল করে কাটতে পারবেন? কী ভাবে বোঝা যাবে যে কোনও জায়গা থেকে চুল কাটালে আপনার অসুবিধা হতে পারে? এটা বোঝার জন্য চুল কাটানোর আগে কিছু কথা মাথায় রাখুন।
১। কোথাও গিয়ে চুল কাটানোর আগে আপনাকে অবশ্যই জিজ্ঞেস করা হয় কী ভাবে চুল কাটাতে চান। অনেকে অবশ্য খুব বেশি কথাই বলতে চান না। অনেকে আবার পুরো কথা না শুনে কোনও ছবি দেখেই বলে দেন, ‘হ্যাঁ হয়ে যাবে’। দুই ক্ষেত্রেই বুঝে যাবেন, আপনার মনের মতো চুল-কাটা হবে না। কেশসজ্জা বিশেষজ্ঞ যদি ঠিক করে কথা না বলেন, তা হলে আপনার চাহিদাগুলি বুঝতেই পারবেন না। তাই আপনার মনের মতো চুল কাটাও সম্ভব হবে না।
২। আপনার অনেক দিন ধরে লম্বা চুল। হঠাৎ একদম ছোট করে কেটে ফেলতে চাইছেন? কিন্তু কেন? কোনও শারীরিক সমস্যা হচ্ছে, নাকি কোনও রকম মানসিক অবস্থায় বড় বদল এসেছে বলে হঠকারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন? তাতে আপনার অসুবিধা হবে না তো? আপনার রোজকার যা রুটিন, তাতে এমন চুলের কায়দা কী রাখা সম্ভব, যার পিছনে প্রত্যেক দিন অনেক সময় ব্যয় করতে হবে? যিনি এই ধরনের প্রশ্নগুলি আপনাকে করবেন, ধরে নিতে পারেন, তিনি মোটামুটি ঠিক করে বলে দিতে পারবেন কী ভাবে চুল কাটালে আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল হবে।
৩। একজন কেশসজ্জা শিল্পী কাছে চুল নিয়ে নানা রকম তথ্য থাকে। চুলের কী সমস্যা হচ্ছে, তার কী সমাধান হতে পারে, কোন প্রসাধনী ব্যবহার করলে তা চুলের পক্ষে ভাল হবে— এই ধরনের যাবতীয় উপদেশ যদি কেউ না দিতে পারেন, তা হলে তাঁর কাছ থেকে চুল না কাটানোই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy