উস্কখুস্ক চুলের যত্ন কীভাবে নেবেন, জেনে নিন। ছবি: সংগৃহীত।
চুল ভাল রাখার জন্য নিয়মিত চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। না হলে বিভিন্ন কারণেই চুল খারাপ হতে থাকে। অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, তাঁদের চুল দিনের পর দিন রুক্ষ হয়ে উঠছে। অনেকেই মনে করেন রুক্ষ বা শুষ্ক চুলের সমস্যা কোঁকড়ানো চুলের অধিকারীদেরই হয়। এমন ধারণা কিন্তু আদৌ যুক্তিযুক্ত নয়। চুল উস্কোখুস্কো হবে কি না, তা নির্ভর করে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণের উপর। এই পরিস্থিতি শুধু শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন আরও একটু যত্নের। কিন্তু কী ভাবে?
১) কোঁকড়ানো চুল
কোঁকড়ানো চুল দেখতে ভাল লাগে। কিন্তু যাঁদের মাথায় থাকে, সারা বছর তাঁদের ভুগতে হয় চুল শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অ্যালকোহল এবং সালফেটবিহীন প্রসাধনী ব্যবহার করার। কারণ, এই দু’টি যৌগ মাথার ত্বক থেকে স্বাভাবিক তেল শুষে নেয়। ফলে চুল অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার নির্বাচন করার সময়ে সতর্ক থাকতে হবে। অতিরিক্ত তাপ দিতে চুলে কায়দা করতে না পারলেই ভাল।
২) ঢেউখেলানো চুল
কোঁকড়ানো চুল এবং সোজা চুলের মাঝামাঝি একটি পর্যায়ের মধ্যে পড়ে এই ঢেউখেলানো চুল। যে হেতু নির্দিষ্ট কোনও আকার নেই তাই এই ঢেউখেলানো চুলের ক্ষেত্রে শুষ্ক হওয়ার প্রবণতাও ভিন্ন। ঢেউখেলানো চুলের উপরিভাগ তৈলাক্ত হলেও চুলের ডগার দিক কিন্তু বেশ শুষ্ক হয়। তাই এই অংশের যত্ন নেওয়া বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। না হলে ডগা ফাটার সমস্যা রোধ করা যাবে না। ঢেউখেলানো চুলের যত্নে মাইল্ড শ্যাম্পু, চুলের তলার দিকে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারলে শুষ্ক হওয়ার সমস্যা অনেকটাই ঠেকিয়ে রাখা যায়। জট ছাড়াতে মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
৩) সোজা চুল
কোঁকড়ানো বা ঢেউখেলানো চুলের মতো এতটা শুষ্ক না হলেও বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকলে সোজা চুলও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এই ধরনের চুলে শুষ্কতা রোধ করতে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারের পাশাপাশি ব্যবহার করতে হবে সেরাম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy