একঢাল ঘন কেশ যেমন সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়, তেমনই পাতলা হয়ে যাওয়া চুল বা টাক বদলে দেয় মুখের ছবিটাই। সে কারণেই চুল উঠতে শুরু করলে ঘুম উড়ে যায় অনেকেরই।
চুল ভাল রাখতে, চুল ঝরা বন্ধ করতে, এমনকি নতুন কেশ গজাতেও তাই মাখা দরকার তেল, তেমনই মনে করেন এ দেশের অধিকাংশ বাসিন্দাই। কিন্তু এই ভাবনাই ভুল, বলছেন খ্যাতনামী কেশসজ্জা শিল্পী জাভেদ হবিব।
তাঁর হাতযশের কথা শুধু ভারত নয়, জানেন বিশ্বের বহু দেশের বাসিন্দাই। হাতে ধরে লক্ষ লক্ষ মানুষকে কেশসজ্জার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তিনি। সেই কেশসজ্জা শিল্পী বলছেন, ‘‘তেল নয়, বরং চুল ঝরা বন্ধ করতে মাখুন পেঁয়াজের রস।’’
সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন সময় একাধিক টোটকা বা পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারেও তাঁর ভাবনা উঠে এসেছে। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, গোড়ায় গলদের কথা।
চুল নিয়ে হাবিব-কথা
জাভেদ বলছেন, ‘‘তেল নয়, চুলের বৃদ্ধিতে তেলের মতো মালিশ করা দরকার পেঁয়াজের রস।’’ এতে থাকা সালফার মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, চুলের ফলিকলের যত্ন নেয়, চুল মসৃণ করে এবং চুল গজাতে, বাড়বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

কেশচর্চায় কী পরামর্শ জাভেদ হবিবের?
তবে পেঁয়াজের রস মাথায় মিনিট পাঁচেক রাখলেই যথেষ্ট। সপ্তাহে দু’বার এটি মাখলেই কাজ হবে।
কিন্তু চুল ভাল রাখতে যে সকলে তেল মাখার কথা বলেন? তেল নিয়ে কেশসজ্জা শিল্পীর মত ভিন্ন। তিনি বলছেন, ‘‘তেল চুলকে আর্দ্র রাখে, চুল বৃদ্ধিতে এর কোনও ভূমিকা নেই।’’ জাভেদ জানাচ্ছেন, তেল মাখাই যায়, তবে তা চুল সুন্দর রাখতে, চুলে আর্দ্রতা জোগাতে। আর এ জন্য তেল মাখা দরকার স্নানের ঠিক আগে। মাথার ত্বকে তেল ঘষার দরকার নেই, বরং চুলে হালকা করে মেখে নিলেই যথেষ্ট। তার পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলা দরকার।
একই সঙ্গে কেশসজ্জা শিল্পীর পরামর্শ, তেল নিয়ে বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষাও প্রয়োজনহীন। বরং যে অঞ্চলে যে ধরনের তেল ভাল পাওয়া যায়, সেটাই মাখতে পারেন। যে রাজ্যে সর্ষের তেল ভাল মেলে, সেখানকার বাসিন্দারা সেটাই মাখতে পারেন। আবার দক্ষিণ ভারতের মানুষ নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। তবে তা বেশি ক্ষণের জন্য মেখে রাখা ঠিক নয়।