কাজে বেরোনোর আগে হাতে তো খুব বেশি সময় থাকে না। তাই চুলে খুব বেশি কায়দা করতে পারেন না। উঁচু করে একটা পনিটেল বেঁধে নেন। দেখতেও সুন্দর লাগে, আবার শাড়ি বা পশ্চিমি যে কোনও পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে যায়। তবে খেয়াল করে দেখেছেন, দীর্ঘ ক্ষণ একই ভাবে চুল বেঁধে রাখলে মাথা যন্ত্রণা করে। রাতে মাথার ত্বকে হাত দিলে ব্যথাও অনুভূত হয়। কিন্তু দীর্ঘ দিন এই ভাবে চুল বাঁধার জন্য যে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। শুধু তা-ই নয়, চিকিৎসকেরা বলছেন, মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা দেখা যায়, সেটি হল ‘ট্র্যাকশন অ্যালোপেশিয়া’। কপালের সামনের থেকে ‘হেয়ার লাইন’ অনেকটা উপরে উঠে যেতে শুরু করে। ‘হেয়ার থিনিং’ বা চুল পাতলা হওয়ার সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে। অনেকেরই চুলের গোড়ায় ব্যথা হয়। ফলিকিউলার সিস্ট বা মাথার ত্বকে র্যাশ, ব্রণের সমস্যাও হতে পারে।
আরও পড়ুন:
এই সমস্যা থেকে মুক্তি উপায় কী?
১) খুব শক্ত করে চুল বাঁধলে ক্ষতি হবেই। নিয়মিত চুলে পনিটেল বাঁধেন যাঁরা, তাঁদের জন্য চুলে এই ধরনের কায়দা একেবারেই ভাল নয়। রোজ ফলিকলে এই ভাবে চাপ পড়লে চুলের গোড়া আলগা হতে শুরু করে। ফলে চুল ঝরার পরিমাণ বেড়ে যায়। এ ছাড়া জিনগত কারণ, অপর্যাপ্ত ঘুম, খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম এবং শারীরিক কোনও সমস্যা থাকলেও চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
২) প্রতি দিন এক ভাবে চুল বাঁধলে চুলের গোড়ায় চাপ পড়ে। তাই রোজ একই ভাবে শক্ত করে পনিটেল বা বিনুনি বাঁধার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। চিকিৎসকেরা বলছেন, চুল আসলে এক ধরনের ফাইবার। দীর্ঘ দিন ধরে একই ভাবে, একই জায়গায় অতিরিক্ত চাপ পড়লে যে কোনও জিনিসই ছিঁড়ে যায়। চুলের ক্ষেত্রেও তা-ই। কেশসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, চুলের ধরন, দৈর্ঘ্য বা ঘনত্ব বুঝে হেয়ার স্টাইল বাছতে হবে। রোজ একই ভাবে চুল না বেঁধে, চুলের ক্ষতি করে না এমন কায়দা করতে হবে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে।
আরও পড়ুন:
৩) ভিজে চুল কিন্তু খুব দুর্বল হয়। তাই ভেজা চুলে কোনও রকম কায়দা করা যাবে না। এমনকি চুল আঁচড়াতেও বারণ করেন কেশসজ্জা শিল্পীরা। হাতে যদি খুব বেশি সময় না থাকে, তা হলে ভেজা চুলে আগে লিভ-ইন কন্ডিশনার মেখে নিন। আঙুলের সাহায্য প্রথমে জট ছাড়িয়ে তার পর ড্রায়ার দিয়ে চুল আধশুকনো করে ফেলুন। খুব ভাল হয়, যদি চুল খোলা হাওয়ায় শুকিয়ে নেওয়া যায়।