বলিরেখা দূর করতে কোন উপাদানে ভরসা রাখবেন? ছবি-প্রতীকী
বয়স বাড়ার ছাপ ত্বকে পড়বেই। তবে সারা বছর যত্ন নিলে সেই ছাপকে ঠেকিয়ে রাখা অনেকটা সহজ হয়। যত্ন বলতে কিন্তু সাঁলো বা পার্লারের কেতা নয়, বরং ঘরোয়া যত্ন ও রূপ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি কার্যকর।
রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘরোয়া কিছু উপাদানকে সারা বছর নিজের রূপসজ্জার রুটিনে ঢুকিয়ে ফেলতে পারলে ত্বকে বলিরেখা রোখা যায় সহজেই। সামনেই পুজো, ত্বকের বলিরেখা দূর করতে এখন থেকেই নিতে হবে বাড়তি যত্ন! জেনে নিন কোন কোন প্রাকৃতিক উপাদানে ভরসা রাখলেই সুফল পাবেন বেশি।
নারকেল তেল
যে কোনও অ্যান্টি এজিং ক্রিমের তুলনায় নারকেল তেলের ত্বকের বলিরেখা দূর করতে অনেক বেশি কার্যকর। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মুখ ভাল করে পরিষ্কার করে নিয়ে অল্প নারকেল তেল হাতে নিয়ে মুখে ভাল করে মালিশ করে নিন। মাস খানেক এই পন্থা মেনে চললে ফারাকটা নিজেই বুঝতে পারবেন।
ডিমের সাদা অংশ
ত্বকে বয়সের ছাপ দূর করতে নামী-দামি প্রসাধনীর পরিবর্তে ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করে দেখতেই পারেন। ডিমের সাদা অংশ এমনিই মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। আরও ভাল পাবেন যদি একটা ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে আধ চামচ মধু, এক চামচ লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে সেই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে মিনিট ১৫ রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। ডিমের সাদা অংশে থাকা ভিটামিন এ, ই বি, পটাশিয়াম, প্রোটিন, ম্যাগনেশিয়াম ত্বকের জেল্লা বাড়াতে এবং ত্বকের নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে। বলিরেখাও দূর করে।
শশার রস
শশাও কিন্তু বলিরেখা দূর করতে বেশ উপকারী। বেশ কয়েকটা শশার রস বার করে নিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখুন। বাইরে থেকে ঘুরে এসে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে এই টোনার ব্যবহার করতেই পারে। কিংবা রাতেও এই টোনার লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। ত্বকের জেল্লা বাড়াতে এবং বলিরেখা দূর করতে এই টোনারের জবাব নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy