ঘর্মাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে শীতল জলে স্নান শরীর-মনকে শান্তি দেয়। এর কোনও উপকার আছে? ছবি: সংগৃহীত।
দিনভর কাজের শেষে ক্লান্ত শরীরে বাড়ি ফিরে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করলে বেশ আরাম হয়। গায়ে ব্যথাও কমে এতে। হালকা গরম জলে স্নানের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে ঠিকই, কিন্তু ঠান্ডা জলে স্নানে শরীরের কোনও ভাল হয়? বিশেষত গরমের দিনে বা সারা দিন ঘোরাঘুরি করে ঘেমে গেলে শরীরও চায় শীতল স্পর্শ। এতে কোন উপকার হবে?
১. গায়ে র্যাশ হলে বা ঘামের জেরে গা চুলকালে ঠান্ডা জলের স্পর্শ শরীরকে ঠান্ডা করে। প্রদাহ, চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। বিশেষত শরীর গরম থাকলে ঠান্ডা জলে স্নান করলে স্বস্তিবোধ হয়। আঘাত লাগলে বা রক্ত জমাট বেঁধে গেলে ঠান্ডা জল, বরফ দিতে বলা হয়। যাতে তাড়াতাড়ি রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে। শরীরে প্রদাহ কমাতে, কার্ডিয়োভাসকুলার নানা প্রকার রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে ঠান্ডা জলে স্নান।
২. ঠান্ডা জলে স্নান করলে বিপাকহারের গতি বৃদ্ধি হয়। ঠান্ডা জলে স্নান করার পর দেহের তাপমাত্রা কমে যায়। তা আবার আগের জায়গায় আনতে শরীরে জমা ফ্যাট পোড়াতে হয়। যা বিপাকহারের গতিও বাড়িয়ে তোলে।
৩. বাতের ব্যথায় হালকা গরম জলে স্নান করা উপকারী ঠিকই, কিন্তু যদি পেশিতে চোট লাগে, তখন ঠান্ডা জলে উপকার মেলে। চোট পেলে তখন ঠান্ডা জলে স্নান করলে উপকার হবে।
৪. ঠান্ডা জলে স্নান করলে স্নায়ুর উপর এর প্রভাব পড়ে। মেজাজ ভাল করা হরমোন এন্ড্রোফিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে স্নান। এর ফলে অবসাদ, মনখারাপ কমাতেও ঠান্ডা জলে স্নান ভূমিকা রাখে।
৫. ত্বকের পক্ষেও ভাল ঠান্ডা জল। গরম জলে অনেকেরই ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। যার জেরে গায়ে-হাতে প্রদাহের সমস্যা দেখা যায়। চুলকায়, জ্বালা করে। কিন্তু শীতল জলে স্নানে এই সমস্যা থাকে না। পাশাপাশি ঠান্ডা জ্বল ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্র বন্ধ বা ছোট করতেও সাহায্য করে। যার ফলে ত্বক অনেক বেশি কোমল হয়ে ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy