Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Curly Hair

রুক্ষ, শুষ্ক কোঁকড়ানো চুল নিয়ে অসন্তুষ্ট, কী ভাবে যত্ন করলে সেই চুলই হয়ে উঠবে নায়িকাদের মতো?

কোঁকড়া চুল নিয়ে কিছুটা ঝক্কি থাকলেও, সঠিক পরিচর্যায় এই চুলও বাগে আনা যায়। কী ভাবে কেশচর্চা করবেন?

কোঁকড়ানো চুল যত্নে রাখুন।

কোঁকড়ানো চুল যত্নে রাখুন। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:১৮
Share: Save:

চুল সোজা ও মসৃণ হলে খুব সহজেই কেশসজ্জা করা যায়, চট করে জট পড়ে না, খোলা চুলের বাহার দেখেও লোকজন মুগ্ধ হয়। তবে কোঁকড়ানো চুলের ক্ষেত্রে বিষয়টা খানিক উল্টো। একে তো সহজে রকমারি কেশসজ্জা করা যায় না, তার উপর জট ছাড়াতে গিয়ে দম বেরোনোর জোগাড় হয়।

তাই বলে সোজা চুলেই রূপ খুলবে, কোঁকড়ানো চুলে নয়, এমনও কিন্তু নয়। কঙ্গনা রানাউত এবং তাপসী পান্নু, দুই অভিনেত্রীরই কোঁকড়া চুল। তার পরেও কিন্তু তাঁদের দেখতেও বেশ মিষ্টি লাগে।

কোঁকড়া চুল নিয়ে কিছু সমস্যা হয়ে ঠিকই। তবে তাতে অসন্তুষ্ট না হয়ে বরং দৈনন্দিন পরিচর্যায় ভরসা রাখতে পারেন।

সমস্যা

এক এক জনের চুলের সমস্যা এক এক রকম। কারও মাথায় বেশি তেল নিঃসরণ হয়। ঠিকমতো শ্যাম্পু করা না হলে তা থেকেই খুশকি বা সংক্রমণ হতে পারে। আবার কোঁকড়া চুলের আর একটি সমস্যা হল রুক্ষতা বা শুষ্কতার। অনেকেরই চুলে অতিরিক্ত শুষ্কতার জন্য ডগা ফাটার সমস্যা থাকে। আর্দ্রতার অভাবে চুল হয়ে যায় জৌলুসহীন। রুক্ষ চুলে জোট পড়ে গেলে তা ছাড়াতেও বেগ পেতে হয়।

সমাধান কী ভাবে?

প্রথমে সমস্যা অনুযায়ী পরিচর্যার কথা ভাবতে হবে।

টি-ট্রি অয়েল

মাথায় খুশকি থাকলে, চুলকানি, চুল পড়ার সমস্যা হবেই। এ ক্ষেত্রে টি ট্রি অয়েল কাজের হতে পারে। যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন তাতে কয়েক ফোঁটা এই তেল মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। শ্যাম্পু করার সময় আঙুল দিয়ে মাথার তালুতে মালিশ করে নিতে পারেন। তার পর ভাল করে ধুয়ে নিলেই হবে।

নারকেল তেল

চুলে আর্দ্রতা ও পুষ্টি জোগাতে ব্যবহার করতে পারেন নারকেল তেল। মা-ঠাকুমারা প্রতিদিন চুলে তেল দেওয়ার কথা বলতেন। কিন্তু, ইদানীং অনেকেই সেই নিয়ম মানেন না নানা কারণে। তবে নিয়মিত নারকেল তেল মালিশে চুল ঝরা বন্ধ হবে। চুল কোমল ও সুন্দর হবে। রুক্ষ ভাব দূর হবে।

অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার

মাথার ছোটখাটো সংক্রমণ ও মৃত কোষ দূর করতে পারে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার। পাশাপাশি, মাথার ত্বক বা তালুর পিএইচ মাত্রা বজায় রাখতেও এই উপাদানটি বেশ কার্যকর। এক কাপ জলে ১ চা-চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে তা সরাসরি চুলে স্প্রে করে নিতে পারেন। আবার শ্যাম্পুতে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।

চুল সোজা, কোঁকড়ানো বা ঢেউ খেলানো যেমনই হোক না কেন, উদ্বেগও চুল ঝরা, রুক্ষতার পিছনে পরোক্ষ ভাবে দায়ী হতে পারে। তাই শরীর ও মন ভাল রাখতে ব্যায়াম, ধ্যান, প্রাণায়ামের অভ্যাস করলে তা চুলের পক্ষে ভালই হবে।

চুল ফুলে ফেঁপে থাকলে যদি সমস্যা হয়, তা হলে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ও সিরাম ব্যবহার করতে ভুলবেন না। পাশাপাশি, সঠিক ছাঁটও কোঁকড়ানো চু্লের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলতে পারে।

অন্য বিষয়গুলি:

Hair Care Tips
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE