পঞ্চাশের পরেও কী ভাবে থাকবেন সুন্দর? ছবি: সংগৃহীত।
বয়স তো একটা সংখ্যা মাত্র। ৪৯-এ পা দেওয়া শিল্পা শেট্টির রূপ-যৌবন দেখে সেটা মনে হতেই পারে। পঞ্চাশের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও যে কোনও তরুণীর কাছেই ঈর্ষনীয় তাঁর রূপ।
অভিনেত্রীর কথায় বারবার উঠে এসেছে সুস্থ ও সুন্দর থাকতে স্বাস্থ্যকর খাদাভ্যাস, নিয়মিত শরীরচর্চার কথা। শিল্পা তাঁর দিন শুরু করেন, এক গ্লাস গরম জলে আমলকির রস খেয়ে।সকালের জলখাবার কোনও দিনই বাদ যায় না। তারপর থাকে শরীরচর্চা।স্নানের পর ত্বকের চর্চায় ময়েশ্চারাইজার অবশ্যই ব্যবহার করেন তিনি।
পঞ্চাশের কোঠায় পৌঁছে সুন্দর থাকতে তাই শরীরচর্চা ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার খাওয়া অবশ্যই জরুরি। পাশাপাশি নজর দিতে পারেন ত্বকেও। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ত্বকেরও দরকার হয় বাড়তি যত্ন। কী ভাবে নেবেন সেই যত্ন?
ক্লিনজিং
বয়সের সঙ্গে ত্বকেও যেহেতু বদল আসে, তাই এই সময় ত্বক পরিষ্কার রাখতে মৃদু কোনও ক্লিনজার ব্যবহার করা ভাল। গন্ধহীন ক্রিমের মতো ক্লিনজার বেছে নেওয়া যেতে পারে। তবে তাতে অলিভ অয়েল, নারকেল তেলের মতো উপাদান রয়েছে কি না দেখে নেওয়া দরকার। এই ধরনের ক্লিনজার কোমলভাবে ত্বক পরিষ্কারের পাশাপাশি আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
এক্সফোলিয়েট
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে মরা কোষ জমতে থাকে। সেই মরা কোষ সরিয়ে ফেলা খুব জরুরি। এক্সফোলিয়েশন ত্বকের মরা কোষ সরিয়ে ত্বকের অতিরিক্ত তেল, নোংরা বের করে দেয়। মৃদু কোনও স্ক্রাবার ব্যবহার করা যেতে পারে এ জন্য।
গভীর ভাবে আর্দ্রতা জরুরি
বয়স বাড়লে ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন কমে যায়। যার ফলে ত্বক তার টানটান ভাব, ঔজ্জ্বল্য হারায়। সে কারণেই ত্বক আর্দ্র রাখা খুব জরুরি। প্রাকৃতিক বেশ কিছু উপাদান এক্ষেত্রে ভীষণ ভাল কাজ করে। গোলাপ জল মৃদু টোনার হিসেবে কাজ করে। এছাড়া শিয়া (এক ধরনের বাদাম) বাটার, আমন্ড অয়েল, জজোবা অয়েল, অ্যাভাক্যাডো অয়েল, ত্বক আর্দ্র রাখতে বিশেষ উপযোগী।
এসপিএফ বাধ্যতামূলক
বয়সের সঙ্গে ত্বকে নানা ধরনের বদল হয়। ত্বক স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে। রোদে বেরোলে ক্ষতির মাত্রাও বেড়ে যায়। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতেই হবে। এসপিএফ-এর মাত্রা বেশি হলেই ভাল।
আই ক্রিম
চোখের নীচে বলিরেখা দ্রুত পড়ে। কালি পড়ে যায়। স্পর্শকাতর হয়ে যায়। তাই ভাল মানের আই ক্রিম প্রতিদিন ব্যবহার করা দরকার পঞ্চাশে পৌঁছলেই। অর্গান অয়েল, কোকো বাটার চোখের নীচে ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ত্বকের যত্নের পাশাপাশি শরীর ও মনের সুস্থ থাকাও খুব জরুরি। কারণ তার প্রভাব সবসময়ই মুখে এসে পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy