অর্পিতা রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’। ছবি: সংগৃহীত
এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম আলোচিত নাম পার্থ চট্টপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ মডেল, অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ২২ তারিখ রাতে দক্ষিণ কলকাতার এক অভিজাত আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে ইডি উদ্ধার করে ২০ কোটি টাকা। ইডি সূত্রের খবর, অর্পিতা রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’। দু’জনের একসঙ্গে বেশ কিছু ছবিও নেটমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।
২০০৮ সালে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম বাংলা ছবি ‘পার্টনার’। সেই সিনেমায় ছিলেন টলি অভিনেতা জিৎ । ২০০৯ সালে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘মামা-ভাগ্নে’ ছবিতে অভিনয় করেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ওড়িয়া, মালায়লম এবং দক্ষিণের বেশ কিছু ছবিতেও অভিনয় করেন তিনি। সেই সঙ্গে বেশ কিছু বিজ্ঞাপনেরও মুখ ছিলেন অর্পিতা। গত বছরই নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের দুর্গাপুজোর মুখ ছিলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই অর্পিতা তাঁর শরীর-চেহারা নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। তাঁর ইনস্টাগ্রাম দেখলেই বোঝা যায় তিনি যথেষ্ট ফিটনেস সচেতনও।
নেটমাধ্যমে বেশ কিছু ছবিতে দেখা গিয়েছে তিনি শরীরচর্চায় ব্যস্ত। জিম, প্রাণায়াম করতেও দেখা যাচ্ছে। অন্য দিকে তাঁকে যাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলা হচ্ছে অর্থাৎ রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিন্তু বয়স এবং অসুখের ভারে কিছুটা হলেও ন্যুব্জ। চলতি বছরের অক্টোবরে ৭০-এ পা দেবেন মন্ত্রী। ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েডের মতো সমস্যায় অনেক দিন ধরে ভুগছেন তিনি। তাঁর এই অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির কারণ মূলত থাইরয়েড। বহু বার দেখা গিয়েছে যে ওজনের ভারে মন্ত্রীর চলাফেরা করতে বেশ অসুবিধাই হচ্ছে। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বসে বসেই বক্তব্য রাখতে দেখা গিয়েছিল।তবে ওজন নিয়ে হাল ছেড়েছেন রাজ্যের ‘ওজনদার’ মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। রাজ্যের শিল্পমন্ত্রীর পাশাপাশি তিনি তৃণমূলের মহাসচিবও বটে। কিন্তু শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতে নেই। পার্থ বলেন, ‘‘স্থূলতা আমাদের বংশগত। এ নিয়ে আমার হাতে কিছু নেই। তবে সুস্থ থাকার জন্য যা যা করা দরকার সবই করি।’’
থাইরয়েড, ডায়াবিটিস জব্দ করার অন্যতম উপায় কিন্তু শরীরচর্চাই। নিয়মিত কার্ডিয়ো এবং স্ট্রেংথ ট্রেনিং করে, পাশাপাশি নিয়ম ধরে খাওয়াদাওয়া করলে যে এই ধরনের শারীরিক জটিলতাগুলি থেকে দূরে রাখা যায়, তা চিকিৎসক, পুষ্টিবিদ এবং ফিটনেস প্রশিক্ষকরা বার বার মনে করান সাধারণ মানুষকে।
অর্পিতা নিজে অভিনেত্রী এবং মডেল বলে দাবি তাঁর এবং তাঁর মায়ের। পেশাগত কারণে হয়তো তিনি ফিটনেস সচেতন। তাঁর ওয়ার্কআউটের নানা ছবি দেখা গিয়েছে ইনস্টাগ্রামে। ইডি সূত্রে খবর পার্থর বেশ ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা। ভোটেরা প্রচারেও তাঁদের এক গাড়ি থেকে হাত নাড়তে দেখা গিয়েছে। তা হলে যাঁর এত ‘ঘনিষ্ঠ’, তাঁকে কি শরীরচর্চায় অনুপ্রেরণা দিতে পারেননি অর্পিতা? এমনই নানা ধরনের রসিকতা ঘুরছে সকলের মনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy