মায়েরা কি নিশ্চিন্তে গাঁজা খেতে পারেন? ছবি- সংগৃহীত
৪ বছরের এক খুদের মা, ব্রিটেনের বাসিন্দা এক তরুণীকে সমাজ দাগিয়ে দিয়েছে ‘গাঁজা গার্ল’ নামে। কারণ, গাঁজার প্রতি তাঁর অদম্য টান। কিন্তু তরুণীর বিশ্বাস, অভিভাবক হিসাবে তাঁকে আরও উন্নত করেছে এই গাঁজাই।
মা হওয়ার আগে পর্যন্ত অনেক মহিলাই ধূমপান করে থাকেন। কারও কারও ক্ষেত্রে তা রীতিমতো আসক্তিতে পরিণত হয়। কিন্তু মা হওয়ার অর্থাৎ অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সময় থেকে যে বিধি-নিষেধ মানার পর্ব শুরু হয়, তখন থেকেই সেই অভ্যাসে ইতি টানেন অনেকে। সন্তানকে সুশিক্ষা দিয়ে মানুষের মতো মানুষ করে তোলার জন্য গুরুজনরাও তেমন পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
কিন্তু ওই তরুণীর দাবি, গাঁজা খাওয়ার অভ্যাস তাঁকে মা হিসাবে আরও ধৈর্যশীল এবং সৃজনশীল করে তুলেছে। কাজের প্রতি তাঁর একাগ্রতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। অথচ এই গাঁজা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নানা কুসংস্কার এখনও মনের মধ্যে গেঁথে রয়েছে। যদিও এই সমাজের চোখে মায়েদের সুরাপান করা খুব একটা বিতর্কিত না হলেও গাঁজা নিয়ে বিশাল কড়াকড়ি রয়েছে।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সন্তানের মা হলেও ব্যক্তিগত জীবনে উদ্বেগ, মানসিক চাপ, অবসাদ এগুলি তো উবে যায় না। বরং মা হওয়ার পর জীবনের ধারা অনেকটা বদলে যায়। নতুন অনেক দায়-দায়িত্ব এসে যোগ হয়। সেখান থেকেই নানা মানসিক পরিবর্তন আসে। অনেকের ক্ষেত্রেই ওষুধের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমার সে সবের প্রয়োজন পড়ে না। লোকসমাজে যখনই আপনি ধূমপান করবেন, সঙ্গে সঙ্গে উল্টোদিকের মানুষগুলি ভেবেই নেবে আপনি আসক্ত।”
৩২ বছর বয়সি ওই তরুণী আরও বলেন, “গাঁজা খাওয়ার পর আমাকে খানিক ক্ষণের জন্য দেখে হয়তো নিস্তেজ মনে হতে পারে। কিন্তু আমি সম্পূর্ণ ভাবে সক্রিয় থাকি। এখন আমার মেয়েও জানে যে, তার মা বড়দের ওষুধ খায়। সারা দিনের বিভিন্ন সময়ে অল্প অল্প করেই আমি গাঁজা খাই এবং আমি চাই সব মা তাঁদের মানসিক চাপ সামাল দিতে ধূমপান করা অভ্যাস করুন। আর যা-ই হোক, অবসাদ কাটানোর ওষুধের যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, তা গাঁজায় নেই। সমাজের চাপে পড়ে নিজের এই অভ্যাস জলাঞ্জলি দেওয়ার কোনও মানেই হয় না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy