নিয়ম করে খাওয়াদাওয়া করছেন। ঘুম নিয়েও সমস্যা নেই। তবু যেন ক্লান্তি কাটছে না। কোনও কাজ করতেই উৎসাহ পাচ্ছেন না। অনেকসময়ই এমন হয় কারও কারও। যাঁর সঙ্গে হয় তিনি বুঝতেই পারেন না, এর কারণ কী? ক্লান্তির নেপথ্যে থাকতে পারে একাধিক বিষয়। কী সেই কারণ?
ভিটামিনের অভাব: রক্তে থাকে লোহিত কণিকা। কোনও কারণে লোহিত কণিকার সংখ্যা কমে গেলে, কর্মদক্ষতায় প্রভাব পড়তে পারে। দিনভর ক্লান্তি চেপে বসতে পারে। লোহিত রক্তকণিকা কমে যাওয়ার নানা কারণ হতে পারে। ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতিও থাকতে পারে নেপথ্যে। ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি হলেও ক্লান্তি বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন:
ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হলে: ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যের অভাব হলেও এমনটা হতে পারে। পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের মিশ্রণে তৈরি একটি যৌগ হল ইলেকট্রোলাইট। কোনও কারণে এর মধ্যে একটির অভাব হলে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে। এর ফলে পেশি দুর্বল হয়ে পড়তে পারে, জলশূন্যতা তৈরি হতে পারে, শরীরে ক্লান্তিও দেখা দিতে পারে।
রক্তাল্পতা: লোহিত রক্তকণিকা কমে গেলে বা তার কার্যক্ষমতা নষ্ট হলে রক্তাল্পতা দেখা দিতে পারে। এই রক্তকণিকার কাজই হল কোষে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া। শরীরের কলাকোষে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ কমে গেলে ক্লান্তি, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট —সহ একাধিক লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
থাইরয়েড: শরীরে থাইরয়েড হরমোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। থাইরয়েড গ্রন্থি নিঃসৃত থাইরক্সিন হরমোন শরীরের বিপাকক্রিয়া-সহ একাধিক বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে। কোনও কারণে, থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ কম গেলেও শরীরে ক্লান্তি বাসা বাঁধে।
বয়স বৃদ্ধি: বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেও শারীরিক কর্মদক্ষতা হ্রাস পেতে থাকে। বয়স বাড়লে বিপাকহারের গতি কমে যায়। পেশির কর্মক্ষমতাও কমে। তার প্রভাব পড়ে শরীরে। স্পল্প পরিশ্রমেই ক্লান্তি চেপে বসে।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। ক্লান্তির কারণ এর বাইরেও অনেক কিছু হতে পারে। এমন সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।