বাঙালির আনাজের ঝুড়িতে দু’-একটা কাঁচা আমের উঁকিঝুঁকি এখন থেকেই। সবুজ কাঁচামিঠে আমের বিক্রি বেড়েছে। কালবৈশাখী এখনও আসেনি। ছিঁটোফোঁটা বৃষ্টিতে কাঁচা আমের কদর বেড়েছে বাজারে। আর বাঙালির হেঁশেলে আমের ডাল, কাঁচা আমের চাটনি বা আচার বানানো শুরু হয়ে গিয়েছে। ছোট ছোট আমের টুকরো দিয়ে মাছের ঝোল বা আমের টকও দুপুরের পাতে দিব্যি শোভা পাচ্ছে। গরমের দিনে বাঙালির পাত আলো করেই থাকে আম। তাই দিয়ে বেশির ভাগ রান্নাবান্না হয়। আম দিয়ে ডাল, মাছ বা চাটনি তো অনেক খেয়েছেন, আম দিয়ে রাঁধা ভাত খেয়েছেন কখনও?
ম্যাঙ্গো-রাইসের বেশ নামডাক আছে দক্ষিণে। গরমকালে তাদের অত্যন্ত পছন্দের একটি রান্না ম্যাঙ্গো-রাইস। দক্ষিণী কার্ড রাইস যেমন বাঙালির হেঁশেলে দিব্যি জায়গা করে নিয়েছে, তেমনই ম্যাঙ্গো-রাইসও পছন্দ অনেকের। কেমন করে রাঁধতে হবে জেনে নিন।
উপকরণ
৪ কাপ ভাত
১ কাপ কাঁচা আম কুরিয়ে নেওয়া
১ চা-চামচ হলুদ
২ চামচ ছোলার ডাল, ২ চামচ বিউলির ডাল
২ চা-চামচ তেল
১ চামচ সর্ষে
২-৩টি শুকনো লঙ্কা
২-৩টি কাঁচালঙ্কা
আধ কাপ কাঁচা বাদাম
২-৩টি কারিপাতা
নুন এবং মিষ্টি স্বাদমতো
পদ্ধতি
ফ্রায়েড রাইস করার সময়ে যে ভাবে ভাত করেন, সে ভাবেই ভাত করে নিতে হবে। ৭৫ শতাংশ রান্না হয়ে গেলে নামিয়ে জল ঝরিয়ে নিন। একটি থালায় ভাত ছড়িয়ে রেখে ঠান্ডা হতে দিন। এত জল টেনে গিয়ে ভাত ঝরঝরে হয়ে যাবে।
এ বার বাদাম ভেজে তুলে রাখুন। কড়ায় তেল দিয়ে তাতে গোটা সর্ষে, কাঁচালঙ্কা, কারিপাতা ফোড়ন দিন। একে একে দুই ধরনের ডাল ও হিং দিয়ে নাড়তে থাকুন। ডালে বাদামি রং ধরলে বাদাম দিন। নুন ও হলুদ দিয়ে গ্যাসের আঁচ কমিয়ে নাড়তে থাকুন। কুরিয়ে রাখা আম দিয়ে দিন। এ বার তৈরি করা ভাত দিয়ে কম আঁচে ভাজুন। হালকা হাতে ভাজতে হবে, যাতে ভাত ভেঙে না যায় বা দলা পেকে না যায়। দক্ষিণী রান্নায় এর সঙ্গে নারকেল কোরা মেশানো হয় অনেক সময়। আপনার ভাল লাগলে ভাতের উপরে বেরেস্তা ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে পারেন।