মাত্র ৩৩ বছর বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ফিটনেস প্রভাবী লারিসা বরজেসের। ব্রাজ়িলের বাসিন্দা লারিসার প্রথম বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় ২০ অগস্ট। তার পর টানা এক সপ্তাহ কোমায় ছিলেন তিনি। তবে শেষরক্ষা হল না। ২৮ অগস্ট আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হন লারিসা।
লারিসার পরিবার ইনস্টাগ্রামে তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়ে শোকপ্রকাশ করেছে। ইনস্টাগ্রামে লারিসার পরিবার লিখেছে, ‘‘মাত্র ৩৩ বছর বয়সে লারিসার মৃত্যু আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। তবে ঘটনাটি সত্যিই ঘটেছে। এত হাসিখুশি একটি মেয়ের অকালপ্রয়াণে আমরা শোকস্তব্ধ।’’
সমাজমাধ্যমে হাজার হাজার অনুরাগী রয়েছে লারিসার। ২০ অগস্ট কাজের সূত্রে ব্রাজ়িলের গ্রামাডোয় যাত্রা করার সময় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন লারিসা। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, এর আগে হৃদ্যন্ত্রজনিত কোনও সমস্যাই ছিল না লারিসার। কোমায় থাকাকালীন দ্বিতীয় বারের কার্ডিয়াক অ্যারেস্টটি আর সহ্য করতে পারলেন না তরুণী। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, লারিসা তাঁর চিত্তাকর্ষক ব্যক্তিত্বের জন্য পরিচিত ছিলেন সব মহলে। তিনি নিজেও হাসিখুশি থাকতে ভালবাসতেন, আর তাঁর চারপাশের লোকজনদেরও সবসময় হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করতেন। সারা জীবনে কঠোর পরিশ্রম করেছেন তিনি। কাজের প্রতি বেশ মনোযোগী ছিলেন তিনি। শরীরচর্চা ও ফিটনেসের সঙ্গে কোনও রকম আপস করেননি কখনও।
আরও পড়ুন:
ফিট থাকতে গিয়ে অনেক ফিটনেস প্রভাবীই বিভিন্ন রকম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেন। পুষ্টিবিদেরা কিন্তু বারে বারেই এ সব কৃত্রিম সাপ্লিমেন্ট নিতে সতর্ক করছেন সকলকে। এই সব সাপ্লিমেন্ট হৃদ্রোগের কারণ হতেই পারে। অতিরিক্ত ফিট থাকার নেশাই কি কেড়ে নিল ফিটনেস প্রভাবীর জীবন? লারিসার মৃত্যুর পর ফের উঠল সেই প্রশ্ন।