নার্সিংহোমে চিকিৎসার গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগের তদন্তে এসে নার্সিংহোমের অপারেশন থিয়েটার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। একই সঙ্গে ওই নার্সিংহোমের বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কালনা শহরের বৈদ্যপুরমোড় লাগোয়া একটি নার্সিংহোমে ঘটেছে এই ঘটনা।
কালনার মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক শেখ মোয়ারফ আলি বলেন, “জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশেই ওই নার্সিংহোমটির অপারেশন থিয়েটsার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ জুলাই কালনা ১ ব্লকের কাঁকুড়িয়া পঞ্চায়েতের মুড়াগাছা গ্রামের আলিকা ইয়াসমিন (২৫) এই প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। আলিকার বাড়ির লোকজনের দাবি, ওই দিনই একটি মেয়ের জন্ম দেয় আলিকা। কিন্তু সে দিন রাত থেকেই প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয় তার। খবর দেওয়া হয় চিকিৎসককে। অভিযোগ, রাতেই বাড়ির লোকেদের না জানিয়ে আলিকার জরায়ু কেটে বাদ দেওয়া হয়। পরের দিন সকাল ১১টা নাগাদ আলিকাকে বর্ধমান সদরেরই অন্য নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু রক্ত বন্ধ না হওয়ায় তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ছ’দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পরে বুধবার রাতে সেখানেই মারা যায় আলিকা। এরপরেই বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে দেহ এনে বৈদ্যপুরের ওই নার্সিংহোমের সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখান আলিকার আত্মীয়েরা। তাঁদের অভিযোগ, নার্সিংহোম ভুল চিকিৎসা করার জন্যই কলকাতায় নিয়ে গিয়েও বাঁচানো যায়নি আলিকাকে। সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিক্ষোভ ওঠার পরে রাত আটটার পরে ওই নাগাদ ওই নার্সিংহোমে তদন্তে যান কালনার অতিরিক্ত ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শেখ মোয়ারফ আলি, কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বড়াই-সহ একটি প্রতিনিধি দল। সেই সময় নার্সিংহোম চত্বরে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। নার্সিংহোম পর্যবেক্ষণের পরে স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা ওই নার্সিংহোমের অপারেশন থিয়েটার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মহকুমা হাসপাতাল সুপার জানান, তদন্তের স্বার্থে ফের ওই নার্সিংহোমটিতে যাওয়া হতে পারে।
মেডিক্যালের পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ শঙ্করের
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি
শুধু সুপার বা জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে সরালেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের পরিষেবার উন্নতি হবে না বলে দাবি করলেন মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকার। শুক্রবার তিনি জানান, মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামো উন্নতি না করলে, পরিষেবার হাল ফেরানো সম্ভব নয়। তিনি নিজেও মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য ছিলেন। সে সুবাদে কলেজের পরিকাঠামো সংক্রান্ত অনেক তথ্যই তাঁর জানা রয়েছে। তাঁর অভিযোগ কলেজে ৩৫ জন স্টাফ নার্সের পদ খালি পড়ে রয়েছে। সাধারণ নার্সের পদে ৭০ জন নেই। ৩৫০টি চতুর্থ শ্রেণির কর্মীপদ ফাঁকা রয়েছে। ১৮৫ জন সাধারণ কর্মী, ১১ জন সিস্টার ইনচার্জ এবং ওয়ার্ড মাস্টারের ৫টি পদ শূন্য রয়েছে বলে বিধায়ক জানিয়েছেন। ওই শূন্যপদ পূরণ না হওয়া পর্যন্ত মেডিক্যাল কলেজে যথাযথ পরিষেবা রোগীরা পাবে না বলে বিধায়ক অভিযোগ করেছেন। বিধায়ক শঙ্করবাবু বলেন, “রক্তের নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেই শুধু হবে না। গ্রামীণ হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো উন্নত করতে হবে। অথচ, মুখে সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরির কথা বলা হচ্ছে, কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy