ইবোলার আক্রমণে পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরা লিওনে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে প্রায় দু’হাজারেরও বেশি মানুষের। নতুন কোনও রকম সংক্রমণ ঠেকাতে এ বার বাড়তি পদক্ষেপ ঘোষণা করল সরকার। ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর সবাইকে বাড়ি থেকে না বেরোনোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যানবাহন এবং দোকানপাটও বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।
এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য যাতে স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ইবোলা আক্রান্তদের চিহ্ণিত করতে পারেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই কাজের জন্যে কুড়ি হাজারেরও বেশি কর্মীকে নিয়োগ করা হবে। আনা হবে নতুন অ্যাম্বুল্যান্স এবং সেনাবাহিনীর ৩০টি গাড়ি। সমস্ত দেশবাসী যাতে ওই তিন দিন গৃহবন্দি থাকেন, সে বিষয়ে বিশেষ নজরদারি চালাবেন তাঁরা। স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেছেন, “আমরা আশা করব কেউই এই নিয়ম মানতে অস্বীকার করবেন না। কিন্তু তাও যদি কেউ বাড়ি থেকে বেরোন তা হলে সেটা হবে প্রেসিডেন্টের নির্দেশ অমান্য করা।” কিন্তু সিয়েরা লিওনবাসী এই নির্দেশে সম্মতি দেবেন কি না সেটাই এখন প্রশ্নের। আবার এ বিষয়ে তাদের অতিরিক্ত চাপ দিলে তা হবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমান। সম্প্রতি লাইবেরিয়ার একটি হাসপাতাল থেকে এক ইবোলা আক্রান্ত পালিয়ে আসেন নিকটবর্তী বাজারে।
মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত সিয়েরা লিওনে প্রায় ২০ জন স্বাস্থ্যকর্মী ইবোলায় প্রাণ হারিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, পরীক্ষানিরীক্ষা শেষ হলে নভেম্বর মাস থেকে সংস্থার অন্য স্বাস্থকর্মীদের প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হবে।
ইবোলার আক্রমণ থেকে বাঁচতে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে হু। ইবোলা থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন যাঁরা, তাঁদের রক্তে মিলেছে এই রোগটির অ্যান্টিবডি। সেই অ্যান্টিবডির সাহায্যে চিকিৎসা করার কথা ভাবছে হু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy