ক্লাবের জার্সিতে ফের ভয়ঙ্কর। ছবি: গেটি ইমেজেস
নাকল বল ফ্রি কিক, মিউল কিক, সুপার জাম্প হেডারের পর এ বার ‘ব্যাকহিল ম্যাজিক’। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর নতুন অস্ত্র। মঙ্গলবার বের্নাবাওয়ে যার প্রয়োগে রিয়াল মাদ্রিদের ৫-১ জয়ের পাশাপাশি ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টে ক্লাবের হাজারতম গোল সোনার ফ্রেমে সাজিয়ে দিলেন সিআর সেভেন।
ঘটনাটা কী? দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে বাসেলের বক্সের বাইরে চকিতে করিম বেঞ্জিমাকে ডান পায়ে ব্যাকহিলে পাস বাড়ান রোনাল্ডো। পর্তুগিজ মহাতারকার কিছুটা পিছনে ছিলেন বেঞ্জিমা। পিছন ফিরে থাকায় ফরাসি স্ট্রাইকারকে দেখার কোনও সুযোগ ছিল না রোনাল্ডোর। তবু অসাধারণ অনুমান শক্তিতে বেঞ্জিমাকে নিখুঁত পাস বাড়ানোই নয়, পরের মুহূর্তেই ওয়াল খেলে গোলের ঠিকানা লেখা ফাইনাল পাসটাও বাড়ান রোনাল্ডোই।
রিয়ালের হয়ে গত ১৮ ম্যাচে মাত্র দু’গোল করে তুমুল সমালোচনার মুখে থাকা বেঞ্জিমাকে গোলে ফেরাতে সাহায্য করার আগে গ্যারেথ বেলের পাসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ৬৮তম গোলটাও করে ফেলেছিলেন রোনাল্ডো। তবে তাঁর গোলের থেকেও বেশি সোরগোল পড়ে যায় বেঞ্জিমাকে বাড়ানো এই পাস নিয়ে। যাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় নামই হয়ে যায় ‘ব্যাকহিল ম্যাজিক’। যে পাস থেকেই ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টে এল রিয়ালের হাজারতম গোল।
বের্নাবাওয়ে নামার আগে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের চার ম্যাচে তিনটে হারের ধাক্কা কিছুক্ষণের মধ্যেই কাটতে শুরু করে বাসেলের আত্মঘাতী গোলে। এর পর বেল, হামেস রদ্রিগেজ আর রোনাল্ডোর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল রিয়াল। ডেরলিস গঞ্জালেজ বাসেলের হয়ে ব্যবধান কমালেও রিয়ালকে রোখার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। মরসুমের শুরুতে হারানো ছন্দ পেতে যে ম্যাচটা এ ভাবে দাপটে জেতা রিয়ালের কতটা জরুরিু ছিল স্পষ্ট হয়ে যায় তাদের কোচ কার্লো আন্সেলোত্তির কথায়। তিনি বলে দেন, “আমাদের খেলায় ঝাঁঝটা ফিরে এসেছে। বাসেলের উপর চাপটা রেখে দ্রুত আক্রমণে ওঠার ব্যাপারটা ভাল সামলেছি আমরা। এটা ঠিক টিমের সব সমস্যা সমাধান হয়ে যায়নি। তবে যে ভাবে হারের ধাক্কা কাটিয়ে টিম উঠে দাঁড়িয়েছে সেটা আমার ভাল লেগেছে।”
মাদ্রিদে মায়াবী রাতে গোল করা, সতীর্থকে গোল করানোর পাশাপাশি লিওনেল মেসিকেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল করার দিক থেকে টপকে যান রোনাল্ডো। ৮৬ ম্যাচে মেসির ৬৭ গোল (মঙ্গলবার পর্যন্ত)। রোনাল্ডোর সেখানে ১০৪ ম্যাচে গোলের সংখ্যা ৬৮। আর তিন গোল করলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা রাউলকে (১৪২ ম্যাচে ৭১) ধরে ফেলবেন সিআর সেভেন।
মাদ্রিদের এক ক্লাব জয় পেলেও আর এক ক্লাব আটলেটিকো মাদ্রিদকে যদিও এ দিন অপ্রত্যাশিত ২-৩ হারের মুখে পড়তে হল। গত বারের রানার্সরা ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই পিছিয়ে যায় কর্নার থেকে ফরাসি ডিফেন্ডার মাসুয়াকুর গোলে। ইব্রাহিম আফেলে অলিম্পিয়াকোসকে এগিয়ে দেন এর কিছুক্ষণের মধ্যেই। বিরতির আগে মান্ডুকিচ আটলেটিকোর হয়ে ব্যবধান কমালেও দ্বিতীয়ার্ধে গ্রিস আরও এগিয়ে যায় কোস্টাসের গোলে। ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে পাল্টা গোল দিয়ে অলিম্পিয়াকোসের উপর চাপ বাড়িয়ে দেন আটলেটিকোর পরিবর্ত ফুটবলার অ্যান্তোইন গ্রিয়েজম্যান। তাতেও অবশ্য দিয়েগো সিমিওনের টিম হার এড়াতে পারেনি।
বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে ০-২ হারতে হয় আর্সেনালকেও। জার্মান টিমের হয়ে গোল পান সিরো ইমমোবাইল আর পিয়ের অবামইয়াং।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy