অবশেষে আদালতে গিয়ে ‘অর্জুন’ আদায় করতে হল বক্সার মনোজ কুমারকে। মঙ্গলবার রাতে দাদা রাজেশ মারফৎ ক্রীড়া মন্ত্রকের দেওয়া এই খবর জানতে পারেন মনোজ। খবর পেয়ে দিল্লি কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ীর প্রতিক্রিয়া, “আদালতে যেতে মোটেই ভাল লাগেনি। কিন্তু এ ছাড়া আমার আর কোনও উপায় ছিল না। ইনচিয়ন রওনা হওয়ার আগে এই জয় এশিয়াডে আমাকে বাড়তি উৎসাহ জোগাবে।”
কিন্তু কেন আদালতে গিয়েছিলেন মনোজ?
অর্জুন পুরস্কারের জন্য মনোনীত ১৫ জন ক্রীড়াবিদের তালিকায় প্রথমে তাঁর নাম থাকলেও পরে তাঁকে বাদ দিয়ে আর এক বক্সার জয় ভগবানের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মনোজ এর প্রতিবাদ জানিয়ে ক্রীড়া মন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠালে রিভিউ বৈঠকে অর্জুন তালিকায় তাঁর নাম ফের অন্তর্ভুক্ত করার আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু ১৯ অগস্ট কপিল দেবের নেতৃত্বে এগারো সদস্যের কমিটির সেই বৈঠকেও তালিকায় কোনও পরিবর্তন হয়নি। তার পরই দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। আদালত মনোজের পক্ষেই রায় দেওয়ায় তা মেনে নিতে বাধ্য হল ক্রীড়ামন্ত্রক।
আদালতে ক্রীড়া মন্ত্রক তাদের ভুল স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছে, মনোজ ডোপিং-য়ে জড়িত, এই ভুল খবর তাদের কাছে থাকার জন্যই তাঁর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। মনোজের আইনজীবী রাহুল মেহরার মন্তব্য, “একজন ক্রীড়াবিদকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান আদালতে গিয়ে আদায় করতে হচ্ছে, এ খুবই দুঃখজনক ঘটনা।”
এই ঘটনায় এখন পরোক্ষে আঙুল উঠছে অর্জুন পুরস্কার বাছাই কমিটির প্রধান কপিল দেবের বিরুদ্ধে। রিভিউ বৈঠকের পরেই হকি ইন্ডিয়ার সচিব নরেন্দ্র বাতরা তাঁকে ‘সুবিধাবাদী’ আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, “কপিল আমার সঙ্গে ওর পুরনো হিসাব মেটানোর জন্য কোনও হকি খেলোয়াড়কে অর্জুন তালিকায় রাখেনি।”
অভিযোগ, বাতরার সুপারিশেই কপিল দেবের সংস্থাকে ভুবনেশ্বর ও হরিয়ানার হকি স্টেডিয়ামে ফ্লাড লাইট বসাতে দেওয়া হয়নি। তাই এ বারের অর্জুন তালিকা থেকে বাতরার সুপারিশ করা সাতজন হকি খেলোয়াড়কেই নাকি বাদ দেওয়া হয়। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেন কপিল। তবে ক্রীড়ামন্ত্রক আদালতে মনোজ সম্পর্কে যে ভুল স্বীকার করে নিয়েছে, তাতে ফের এই কমিটির সদস্যদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy