কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম পর্বে ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল আর্সেনাল। সেমিফাইনালেও সেই ছবিই আশা করেছিলেন আর্সেনালের সমর্থকেরা। কিন্তু তা হল না। ঘরের মাঠে প্যারিস সঁ জরমঁ-এর কাছে হারল আর্সেনাল। ০-১ গোলে হারল তারা। প্রথম পর্বে আর্সেনালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের দৌড়ে এগিয়ে পিএসজি।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে খেলা শুরুর ৪ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় প্যারিসের ক্লাব। আর্সেনালের রক্ষণ থিতু হওয়ার আগেই বক্সের মধ্যে থেকে গোল করেন উসমান দেম্বেলে। তার পর বাকি ম্যাচ জুড়ে দেখা গেল দুই কোচের মগজাস্ত্রের লড়াই। এক দিকে প্যারিসের কোচ লুই এনরিকে। অন্য দিকে আর্সেনালের কোচ মিকেল আর্তেতা। দু’জনের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলেন এনরিকে।
পিএসজির কোচ এনরিকে জানতেন, আর্সেনালকে বেশি জায়গা দিলে বিপদ। তাই গোটা ম্যাচ জুড়ে প্রেসিং ফুটবল খেলালেন তিনি। সারা ক্ষণ আর্সেনালের ফুটবলারদের তাড়া করে গেলেন পিএসজির ফুটবলারেরা। ফলে ঘরের মাঠে দাপট দেখাতে পারল না তারা। দুই দলই গোল করার সুযোগ পেয়েছিল। পিএসজির গোলের নীচে জিয়ানলুইজি ডোন্নারুম্মা ভাল খেললেন। এক বারই তিনি পরাস্ত হন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মিকেল মেরিনো একটি গোল করেছিলেন। যদিও তা অফসাইডে বাতিল হয়।
আরও পড়ুন:
উল্টোদিকে শেষ দিকে পর পর গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন পিএসজির ব্র্যাডলি বার্কোলা ও গনসালো র্যামোস। বার্কোলার শট পোস্টের পাস দিয়ে বেরিয়ে যায়। র্যামোসের শট বারে লেগে ফেরে। সেই দু’টি গোলে ঢুকে গেলে আরও সমস্যায় পড়ত আর্সেনাল।
পিছিয়ে থাকলেও গোল শোধ করার অনেক চেষ্টা করে আর্সেনাল। সব রকম তাস খেলে ফেলেন আর্তেতা। কিন্তু পিএসজির রক্ষণ ভাঙতে পারেননি বুকায়ো সাকা, গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেলিরা। ৯০ মিনিট ধরে টান টান লড়াই শেষে হার মানতে হয় পিএসজিকে। অর্থাৎ, ফাইনালে উঠতে হলে প্যারিসের ঘরের মাঠে তাদের হারাতে হবে আর্সেনালকে। এ বার পিএসজি ঘরের মাঠে যে ভাবে খেলেছে তাতে কঠিন লড়াই তাদের সামনে।