যোগী আদিত্যনাথ। —ফাইল চিত্র
এক জন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। আর এক জন উপ-মুখ্যমন্ত্রী। একে অপরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন যোগী আদিত্যনাথ এবং কেশবপ্রসাদ মৌর্য। প্রথমে পূর্ত দফতরের কাজ এবং রাস্তা দেখভাল নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আদিত্যনাথ। এই দফতরটি রয়েছে কেশবের হাতে। পরে আদিত্যনাথের হাতে থাকা লখনউ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এলডিএ)-র কাজে দুর্নীতি চলছে, এই অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন কেশব। মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রীর এই দোষারোপের খেলাই এখন লখনউয়ের রাজনীতিতে সব চেয়ে আলোচিত বিষয়।
ঘটনায় শুরু অক্টোবরে। পূর্ত এবং রাস্তা সারাই দফতরের কাজকর্ম নিয়ে বৈঠক ডাকেন আদিত্যনাথ। সেখানেই উত্তরপ্রদেশের রাস্তাগুলির হাল নিয়ে ক্ষোভ জানান মুখ্যমন্ত্রী। রাস্তাগুলি খানাখন্দ মুক্ত করতে সময়সীমা বেঁধে দেন। পূর্ত দফতরে কাজে দুর্নীতি চলছে বলেও অভিযোগ করেন যোগী। পূর্ত দফতর যে সব দরপত্র দিয়েছে, সেগুলির অডিট করারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠকে ছিলেন না কেশব।
তার পরে গত ১৩ নভেম্বর যোগীকে চিঠি লেখেন উপমুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেন, বাণিজ্যিক প্লট বরাদ্দ, আবাসন নির্মাণ-সহ এলডিএ-র বিভিন্ন কাজে দুর্নীতি হয়েছে। গায়েব হয়ে গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ফাইলও। স্থানীয় থানায় মামলা রয়েছে, এমন এক বিল্ডারকে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন এলডিএ-র কর্তারা। সেই বিল্ডার পলাতক। কিন্তু সুলতানপুরে তাঁর রাস্তার কাজে ছাড়পত্র দিয়েছে এলডিএ। কেশবের এই চিঠিকে যোগীর বৈঠকের পাল্টা হিসেবেই দেখছেন রাজনীতির কারবারিরা। আর কেশবের অনুগামীরা মনে করাচ্ছেন, কাচের ঘরে বসে অন্যের বাড়িতে ইট ছোড়া উচিত নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy