বহু দিন হল অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলি বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা চালু করেছে। এর ফলে অনেকেরই যাতায়াতে বেশ সুবিধা হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা অন্যত্র। এই পরিষেবা বুকিং-এর সময় যাত্রীকে অ্যাপ নির্ধারিত একটা ভাড়া দেখানো হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বাইকচালক যাত্রীকে ফোন করে জানতে চান, অ্যাপে কত টাকা ভাড়া চাওয়া হয়েছে। যদি তিনি ভাড়ার অঙ্ক চালককে জানিয়ে দেন, তখন চালক যাত্রীকে ওই ভাড়া আরও কিছুটা বাড়াতে বলে থাকেন। যাত্রী যদি তা করতে অস্বীকার করেন, তবে চালক পরিষেবাটি বাতিল করে দেন। অন্য দিকে, যদি কেউ ভাড়া বাড়াতে চান, তা হলে চালকরা নির্ধারিত অঙ্কের ভাড়া থেকে আরও বেশ কিছুটা বাড়িয়ে দেন। প্রশ্ন হল, যখন বুকিং-এর সময় কোম্পানির তরফে একটা ভাড়া নির্ধারিত করে দেওয়া হচ্ছে, তখন যাত্রীদের বেশি ভাড়া গুনতে হবে কেন?
অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলির কাছে ফোন করে এই বিষয়ে অভিযোগ জানালেও তার কোনও সুরাহা হয় না। শুধু তা-ই নয়, বাইকচালকরা যখন কোনও যাত্রীর আবেদন বাতিল করে দেন, তখন যাত্রীর অ্যাকাউন্টে একটি ক্যান্সেলেশন চার্জ যুক্ত হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ওই যাত্রী পুনরায় বাইক পরিষেবা বুক করতে গেলে ওই বাড়তি ক্যান্সেলেশন চার্জ ভাড়ার সঙ্গে যোগ হয়ে যায়। উপযুক্ত নজরদারির অভাবে অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলি এই বেনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। এটি বন্ধ হওয়া দরকার। প্রশাসনের কাছে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার জন্য তাই আবেদন রইল।
সুদীপ্ত দে, কলকাতা-১০২
ভেদাভেদ কেন
সম্প্রতি স্থানীয় এক সরকারি হাই স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে দেখলাম চাকরিপ্রার্থীদের ডিগ্রির সঙ্গে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। অথচ, যে বিষয়টি পড়ানোর জন্য বিজ্ঞপ্তি, তা বাংলা না ইংরেজি ভাষায় পড়াতে হবে, তার উল্লেখ নেই। যদি ধরেও নেওয়া যায় যে বিষয়টি ইংরেজি ভাষায় পড়াতে হবে, সে ক্ষেত্রেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এত নিশ্চিত হলেন কী করে যে বাংলা মাধ্যমে পড়ে আসা কোনও শিক্ষক ইংরেজি ভাষায় পাঠ দানে অপারগ? সম্প্রতি এই মানসিকতা সমাজের সকল স্তরে দেখা যাচ্ছে। প্রশ্ন হল, ইংরেজি মাধ্যমে পঠনপাঠন মানেই কি তা উৎকৃষ্ট মানের? ওই বিদ্যালয় কি নিজেরা বাংলা মাধ্যম হলেও অন্য বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয়গুলির পঠনপাঠনের মান সম্পর্কে বিরূপ ধারণা পোষণ করে?
যোগ্য ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বদলে যখন বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করা শিক্ষককে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা লেখা হয়, তখন বড়ই লজ্জাবোধ হয়। আমার সন্তানকে যাতে পঠনপাঠনের মাধ্যমের জন্য এই ভেদাভেদের শিকার না হতে হয়, তার জন্য কি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে হবে? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যেগুলি সরকারি বিদ্যালয়ের থেকে কয়েকগুণ ব্যয়বহুল। তা হলে কি যোগ্য হতে গেলে আগে বিত্তবান হওয়া প্রয়োজন? আশা করি আগামী দিনে বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি ও শিক্ষকগণের শুভ বুদ্ধির উদয় ঘটবে। শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকের যোগ্যতাই তাঁর একমাত্র পরিচয় হয়ে উঠুক।
সৌম্যকান্তি মণ্ডল, কলকাতা-১৪৪
চাকরি মেলা
বর্তমানে শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের সামনে চাকরির সুযোগ বেশি করে আনতে চাকরির মেলা আয়োজনের উদ্যোগ বিশেষ তারিফযোগ্য। কিন্তু সেই মেলায় যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির অভাব স্পষ্ট। বিভিন্ন বিমা সংস্থা তাদের লক্ষ্য পূরণ করার উদ্দেশ্যে মেলায় শিবিরের আয়োজন করে। যে প্রার্থী ফাইনান্স ও অ্যাকাউন্টস বিষয়ে অভিজ্ঞ তাঁকেও বিমার এজেন্ট হওয়ার ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে। যাঁরা নতুন প্রার্থী তাঁদের পক্ষে তা গ্রহণযোগ্য হলেও অভিজ্ঞ প্রার্থীদের পক্ষে তা গ্রহণযোগ্য নয়। এ দিকে, আরও অনেক বেসরকারি সংস্থা বাজারে রয়েছে, যারা চাকরির মেলায় অংশগ্রহণ করে না। ফলে শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা সেই সব চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। একই সঙ্গে, চাকরির সুযোগ তৈরির যে মহৎ উদ্দেশ্য, তা-ও পূরণ হচ্ছে না। চাকরির মেলা আয়োজকদের কাছে তাই অনুরোধ, যে বেসরকারি সংস্থাগুলি চাকরির মেলা সম্পর্কে পরিচিত নয়, তাদের এই বিষয়ে অবগত করিয়ে মেলায় অংশগ্রহণের উদ্যোগ করা হোক। তবেই চাকরির মেলা সার্থক হয়ে উঠবে।
দীপঙ্কর দে, সোনারপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
যাত্রী-অস্বাচ্ছন্দ্য
কিছু দিন আগে কলকাতা স্টেশন থেকে কলকাতা-মিথিলাঞ্চল এক্সপ্রেসে চেপে পরের দিন ভোররাতে জসিডি স্টেশনে নামি। রাত্রিবাসের জন্য আমাদের আগে থেকেই রেলের রিটায়ারিং রুম ২৪ ঘণ্টার জন্য বুক করা ছিল। আমরা নির্দিষ্ট কাউন্টারে গিয়ে কাগজ দেখালে কর্মীরা জানান, তখন রুম দেওয়া যাবে না। সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য রুম দেওয়া হয়েছে। যে-হেতু রাত ৩টে নাগাদ আমাদের স্টেশনে পৌঁছনোর কথা ছিল, তাই ওই সময়ে বাইরের হোটেলে যাওয়া নিরাপদ নয় মনে করেই রেলের রিটায়ারিং রুম বুক করি। অগত্যা স্টেশনে বসেই রাত কাটাতে হল। রাতে ট্রেন পৌঁছনোর সময় অনুযায়ী কেন ২৪ ঘণ্টার জন্য যাত্রীদের রুম দেওয়া হবে না?
এ দিকে সকাল ৮টার সময় কাগজপত্র দেখিয়ে রুমে গিয়ে কিছুটা অবাকই হয়েছিলাম। নোনা ধরা অপরিচ্ছন্ন ঘর। বিছানা নোংরা। জানলার পর্দা ছেঁড়া এবং ময়লা। ঘরে কোনও গোপনীয়তাই নেই। অথচ, ঘরের ভাড়া কিন্তু কম নয়— ২৪ ঘণ্টার জন্য লেগেছিল ৪৯৯ টাকা। সরকার ভারতীয় রেল নিয়ে গর্ব বোধ করে। এই কি তার নমুনা? আশা করব রেল কর্তৃপক্ষ যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করবেন এবং যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্যকে অগ্রাধিকার দেবেন।
অতীশচন্দ্র ভাওয়াল, কোন্নগর, হুগলি
রাস্তা খারাপ
বালি পুরসভা অঞ্চলের ডালকো গলি নামক রাস্তাটি আজ বহু বছর যাবৎ চরম দুর্দশাগ্রস্ত এবং দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে পড়ে আছে। প্রথমত, রাস্তাটি বহু দিন মেরামত না হওয়ার ফলে যাতায়াতের অসুবিধার সৃষ্টি করছে। তা ছাড়া পুরসভার কাজের জন্য রাস্তাটিতে মাঝেমধ্যেই ইট-বালি-স্টোনচিপের স্তূপ ফেলে রাখা হয়। এগুলি রাস্তা জুড়ে এমন ভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে যে, এর ফলে দুর্ঘটনা অনিবার্য। বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যে বেশ কিছু দুর্ঘটনার সম্মুখীনও হয়েছেন মানুষজন। বর্ষায় ওই রাস্তাটায় প্রচুর জলও জমে। এ ছাড়া রাস্তার মাঝখানেই বিশাল আকার একটি ভ্যাট পথচারীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রেও সমস্যার সৃষ্টি করছে। বৃষ্টির জলে সেই ভ্যাটের ময়লা সমস্ত রাস্তায় ছড়িয়ে থাকে। স্থানীয় প্রশাসন অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করলেও এই রাস্তাটি হয়তো তাঁদের দৃষ্টি এড়িয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও এ ব্যাপারে নিশ্চুপ। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে অবিলম্বে রাস্তাটি মেরামতের কাজ শুরু করা হোক যাতে আগামী দিনে এই পথ দিয়ে চলাফেরায় আর কোনও অসুবিধা না হয়।
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, লিলুয়া, হাওড়া
মলিন নোট
আর চালানো যাচ্ছে না ১০-২০ টাকার মলিন নোটগুলো। অথচ সরকার নতুন নোট ছাপছেও না। ফলে এই নিয়ে প্রতি দিন বাজার হোক বা ট্রামে-বাসে ঝগড়া লেগেই থাকছে। এ বার তো টাকাগুলোর কোনও সুরাহা হোক।
দেবালয় দাস, কলকাতা-৩৩
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy