প্রতীকী ছবি।
তান্ত্রিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যে কোনও দিন বড়সড় বিপদের মধ্যে পড়তে পারেন তিনি। আশঙ্কা রয়েছে প্রাণনাশের। বিপদ থেকে উদ্ধারের ‘উপায়’ও বাতলে দিয়েছিলেন তান্ত্রিক স্বয়ং। বলেছিলেন, বিয়ের রাতে স্ত্রীকে তুলে দিতে হবে তাঁর (তান্ত্রিকের) হাতে, এই ‘শুভকাজে’ তান্ত্রিকের সঙ্গী হবেন মহিলার দেওর।
গুরুর নির্দেশ মতো বিয়ের রাতেই স্ত্রীকে তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন ওই যুবক। যাতে স্ত্রী কোনও বাধা দিতে না পারেন, সে জন্য মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মেরঠে।
আরও পড়ুন: হাত মেলালেও নাকি ছড়ায় এড্স! বলছে সরকারি বিজ্ঞাপন
নির্যাতিতা ওই নববধূ এবং তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার (শহর) মান সিংহ চৌহান ‘হিন্দুস্থান টাইমস’কে জানিয়েছেন, তান্ত্রিক ও দেওরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও সেই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ওই মহিলার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। খোঁজ নেই অভিযুক্ত তান্ত্রিকেরও।
আরও পড়ুন: বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ যোগীর
চৌহান জানিয়েছেন, ওই মহিলা মেরঠের লিসারি গেট থানা এলাকার বাসিন্দা। এ মাসের ১৫ তারিখ হাপুর জেলার পিলাখওয়া এলাকায় এক কাপড়ের ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরেই তাঁকে মাদক মেশান পানীয় দেওয়া হয়। সেই পানীয় খেয়ে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। এর পর ওই তান্ত্রিক এবং দেওর মহিলাকে ধর্ষণ করে।
শ্বশুরবাড়িতে প্রথম রাতে এই অত্যাচারের শিকার হওয়ার পর বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন ওই মহিলা। বাবা-মাকে গোটা ঘটনা জানান। পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy