‘রোস্টার নীতি’র কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষক নিয়োগে উচ্চবর্ণের আধিপত্য বাড়বে বলে সরব হলেন রাহুল গাঁধী। ছবি: পিটিআই।
চাকরি ও শিক্ষায় উচ্চবর্ণের সংরক্ষণ নীতি চালু করার পরে এ বার ১৩ দফা ‘রোস্টার নীতি’র কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষক নিয়োগে উচ্চবর্ণের আধিপত্য বাড়বে বলে সরব হলেন রাহুল গাঁধী।
সম্প্রতি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ১৩ দফা ‘রোস্টার নীতি’ হাতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। ওই নীতিতে বলা হয়, প্রতিটি চতুর্থ খালি পদে এক জন ওবিসি শ্রেণির, প্রতিটি সাতটি খালি পদে এক জন তফসিলি শ্রেণির ও প্রতি চৌদ্দটি খালি পদে এক জন তফসিলি জনজাতির শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। ওই নীতি সামনে আসতেই সরব হয় একাধিক পিছিয়ে পড়া সংগঠন ও রাজনৈতিক দল। দলিত সংগঠনগুলির অভিযোগ, এর ফলে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যে ছোট ছোট বিভাগ রয়েছে, সেগুলি সংরক্ষণের কোনও ফায়দা পাবে না। ফলে শিক্ষাব্যবস্থায় প্রতিনিধিত্ব কমে যাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির। আজ রাহুল বলেন, ‘‘শিক্ষা ও চাকরিতে উচ্চবর্ণকে ফায়দা দেওয়ার পরে এ বার শিক্ষক নিয়োগেও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব কমাতে পরিকল্পিত পদক্ষেপ করেছে সরকার।’’
মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক অবশ্য ওই অভিযোগ খারিজ করে জানিয়েছে, বিভাগভিত্তিক ভাবে সংরক্ষণের নীতি না মেনে বরং কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষকের অনুপাত দেখে পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে সংরক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy