—প্রতীকী চিত্র।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর অনেক দিন ধরেই কম। ব্যারেল প্রতি ৭০ ডলারের আশেপাশে। ফলে দেশে পেট্রল-ডিজ়েলের দামে কিছুটা সুরাহা আশা করছিলেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু উৎসবের মাসেও সেই আশা পূরণ হল না। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি পেট্রোপণ্যগুলির দাম অপরিবর্তিত রাখল অক্টোবরে। গৃহস্থের রান্নার গ্যাসের দামও একই থাকল। আর ১৯ কেজির বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম গেল ৪৮ টাকা বেড়ে। একই ভাবে আমজনতা বিন্দুমাত্র সুরাহা পেলেন না ডাকঘর-ব্যাঙ্কের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে। অক্টোবর-ডিসেম্বরেও সেগুলিতে সুদ স্থির রাখল অর্থ মন্ত্রক। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, খাদ্যপণ্যের চড়া দামের আবহে এই পদক্ষেপ হতাশ করেছে প্রবীণ নাগরিক-সহ সুদ নির্ভর মানুষদের। স্থির তেলের দাম সেই হতাশা আরও বাড়িয়েছে। বিশেষত তেল সস্তা হলে যেহেতু খাদ্যপণ্যের দাম কমার সুযোগ তৈরি হয়।
দেশে গত দু’মাস ধরে খুচরে মূল্যবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশের নীচে। এই অবস্থায় রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ কমিয়ে ঋণে সুরাহা দেবে বলে আশা করছে শিল্প ক্ষেত্রে। কিন্তু সেটা হলে আমানতেও সুদ কমবে। যা ধাক্কা দেবে সুদ নির্ভর মানুষদের সঞ্চয়ে। ফলে অক্টোবরে শীর্ষ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি বৈঠকের আবহে আপাতত শেষ বার কিছু প্রকল্পে সুদ বৃদ্ধির আশা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু পর পর তিনটি ত্রৈমাসিকে তা একই থাকল। এখন পিপিএফের সুদের হার ৭.১%। সুকন্যা সমৃদ্ধি এবং সিনিয়র সিটিজেন্স সেভিংস স্কিমের ৮.২%।
তেলের দাম কমার ব্যাপারে আশা ছিল আরও কিছুটা বেশি। কিন্তু নতুন মাসেও কলকাতায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে লিটার প্রতি পেট্রল ও ডিজ়েলের জন্য গুনতে হবে যথাক্রমে ১০৪.৯৫ টাকা এবং ৯১.৭৬ টাকা। সংশ্লিষ্ট মহলের অবশ্য বক্তব্য, নভেম্বর-ডিসেম্বরে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দাম কমে কি না, সেটাই আপাতত দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy