ফাইল চিত্র।
হিজবুল কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ কাশ্মীরের রাস্তায় নামেন। বিক্ষোভ দেখান। নিরাপত্তাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অশান্ত হয়ে ওঠে গোটা উপত্যকা। দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন পুলিশ ও সাধারণ মানুষ। উন্মত্ত জনতাকে বাগে আনতে পুলিশ এক ধরনের অস্ত্র প্রয়োগ করে। নাম পেলেট গান। এই বন্দুকের গুলির আঘাতে বহু মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। কেউ কেউ আবার দৃষ্টিশক্তিও হারিয়েছেন। এই ধরনের অস্ত্র প্রয়োগ কেন করা হল তা নিয়ে নতুন বিতর্কের মুখে জম্মু-কাশ্মীর সরকার।
২০১০-এ উপত্যকা যখন অশান্ত হয়েছিল, তখন প্রথম এই ধরনের বন্দুকের প্রথম ব্যবহার শুরু হয়। জম্মু-কাশ্মীরে কোনও বড় ঝামেলা হলেই মানুষ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়ে। সে বছরও একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ-জনতার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তাঁদের থামাতে পেলেট গানের সেই প্রথম ব্যবহার।
কী এই পেলেট গান?
পেলেট অনেক ধরনের হয়। সাধারণত ছোট ছোট বিয়ারিংয়ের বলের মতো দেখতে হয় এদের। কার্তুজের ভিতরে প্রায় কয়েকশো এ রকম ছোট ছোট বল থাকে। ফায়ারিংয়ের পর কার্তুজের খোল ফেটে গিয়ে বলগুলি গিয়ে শরীর ভেদ করে ঢুকে যায়। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, এতে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। ছোট ছোট বলের মতো হওয়ায় অস্ত্রোপচার করে তাদের বের করতেও সমস্যা হয়।
বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর অশান্ত উপত্যকাকে শান্ত করতে যে ধরনের পেলেট গান ব্যবহার করা হয়েছে, তা ২০১০-এর তুলনায় অনেকটাই আলাদা। এই পেলেটগুলো আর গোলাকৃতি নয়, খাঁজকাটা। চিকিত্সকরা বলছেন, যা অনেক বেশি ক্ষতিকারক এবং ভয়ানক। এর ক্ষতি করার ক্ষমতা অনেক বেশি। বিতর্ক আরও এই কারণেই যে, পেলেটগুলো ফায়ার করা হয়েছে মানুষের চোখ লক্ষ্য করে। আট থেকে আশি সকলেই এর শিকার।
আরও খবর...
কাশ্মীর নিয়ে ইসলামাবাদের ইটের পাল্টা গোলা, দিল্লির ঝাঁঝে বেসুরো দোস্তি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy