Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Balakot

বালাকোটের পর দিনই পাক সেনাবাহিনীকে আক্রমণ করতে প্রস্তুত ছিল সেনা, দাবি প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধানের

বালাকোটের পরই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি দেখা দিতে পারত, দাবি বিএস ধানোয়ার।

বিএস ধানোয়া। —ফাইল চিত্র।

বিএস ধানোয়া। —ফাইল চিত্র।

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:১৮
Share: Save:

বালাকোটের পরই পাক সেনাকে আক্রমণ করতে প্রস্তুত ছিল ভারত। তেমন হলে দুই দেশের মধ্যে ফের একবার যুদ্ধ পরিস্থিতি দেখা দিতে পারত। কিন্তু চেষ্টা করেও ভারতীয় বাহিনীর উপর আক্রমণ চালাতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। তাই আর ভারতের তরফে আগ্রাসী মনোভাব দেখানো হয়নি। গত বছরের পুলওয়ামা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে এমনটাই দাবি করলেন প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়া।

এ বছর সেপ্টেম্বরেই অবসর নিয়েছেন বিএস ধানোয়া। শনিবার চণ্ডীগড়ে আয়োজিত সেনা সাহিত্য মহোৎসবের দ্বিতীয় দিনে ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং দ্য মেসেজ অব বালাকোট’ আলোচনাসভায় যোগ দেন তিনি। সেখানেই বালাকোট এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। বিএস ধানোয়া জানান, ‘‘২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে ঢুকে জইশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ শিবির গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। তার পর দিন অর্থাৎ ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বাহিনীকে নিশানা করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। তারা হামলা চালালে, পাল্টা আক্রমণ চালাতে প্রস্তুত ছিলাম আমরাও। কিন্তু চেষ্টা করেও আমাদের উপর আক্রমণ চালাতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। তাই আর আমরা আর আগ্রাসী মনোভাব দেখাইনি।’’

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপি কনভয় লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাক মদতেপুষ্ট জইশ-ই-মহম্মদ। তাতে ৪০ জন জওয়ান প্রণ হারান। তার প্রত্যাঘাতেই ২৬ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে বালাকোট এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জইশ জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শিবির ধ্বংস করে ভারতীয় বায়ুসেনা। তার পর দিনই রাজৌরি হয়ে ভারতের আকাশসীমায় ঢোকার চেষ্টা করে পাক যুদ্ধবিমান। সেটিকে তাড়া করতে গিয়ে পাক সেনার হাতে বন্দি হন বায়ুসেনার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। তবে সেই সময় মিগ-২১ বাইসনের বদলে অভিনন্দন রাফাল ওড়ালে পরিস্থিতি অন্যরকম হত বলে দাবি করেন ধানোয়া। রাফাল যুদ্ধ বিমান পেতে দেরি হওয়ার জন্য নাম না করে পূর্বতন ইউপিএ সরকারকেও কটাক্ষ করেন তিনি।

ধানোয়ার দাবি, ‘‘পুলওয়ামার পর ভারত যে বদলা নেবে, পাকিস্তানও আগেভাগেই তা আন্দাজ করতে পেরেছিল। শুধু কবে, কোথায় বদলা নেওয়া হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটু সময় নিয়েছিলাম আমরা। পুলওয়ামায় যেহেতু জইশ-ই হামলা চালিয়েছিল, তাই শেষমেশ ওদের প্রশিক্ষণ শিবির গুঁড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়। বালাকোটে বেছে বেছে জঙ্গিদের কিছু ঘাঁটিকে নিশানা করি আমরা। ব্রহ্মোসের মতো শক্তিশালী সুরপারসনিক মিসাইলও ছিল আমাদের কাছে। তাতে একবারেই হয়ত কাজ হয়ে যেত। কিন্তু তাতে আরও অনেকে মারা পড়তেন, যা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। আমরা শুধু জঙ্গিদের নিকেশ করতে চেয়েছিলাম।’’ যুদ্ধ নয়, পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তানকে জবাব দেওয়াই ভারতের একমাত্র লক্ষ্য ছিল বলেও জানান ধানোয়া।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy