আপাতত নির্দিষ্ট কিছু পার্বত্য এলাকার জন্য এই কামরাগুলিকে ব্যবহার করার কথা ভাবা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ১০:১১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
ভারতে পর্যটনশিল্পে নতুন গতি যোগ করতে আসছে ভিস্টাডোম কোচ। ঘণ্টায় ১৮০ কিমি গতিবেগ পাড়ি দেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন এই কোচগুলি খাকবে মূলত পাহাড়ি এলাকার ট্রেনে। মূল উদ্দেশ্য, রেলসফরকে আরও মনোরম করে তোলা।
০২১৬
রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানিয়েছেন বুধবারই সম্পন্ন হয়েছে প্রথম দফার ভিস্টাডোম কামরার পরীক্ষামূলক যাত্রা। পশ্চিম মধ্যে রেলওয়েজের কোটা ডিভিশনে এই পরীক্ষামূলক যাত্রার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রেল আধিকারিকদের কথায়, নির্ধারিত সময়ের ৭ দিন আগেই অনুষ্ঠিত হল ট্রায়াল রান।
০৩১৬
ইউরোপের বরফঢাকা পার্বত্য উপত্যকায় রেলসফরের আনন্দের স্বাদ এ বার আসতে চলেছে ভারতেও। রেলমন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে ভিস্টাডোম কামরা নির্মাণ করা হয়েছে।
০৪১৬
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই কামরাগুলিতে যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্যকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
০৫১৬
কামরাগুলির মূল বৈশিষ্ট হল এর এক দিকে থাকবে কাচের বড় বড় জানলা। ছাদেও থাকবে কাচের প্যানেল।
০৬১৬
আপাতত নির্দিষ্ট কিছু পার্বত্য এলাকার জন্য এই কামরাগুলিকে ব্যবহার করার কথা ভাবা হয়েছে।
০৭১৬
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে, নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ে, কাংড়া ভ্যালি রেলওয়ে, কাশ্মীর উপত্যকা, কালকা-সিমলা রেলওয়ে, মহারাষ্ট্রের মাথেরান হিল রেলওয়ে এবং আরাকু উপত্যকার ক্ষেত্রে এই অত্যাধুনিক কামরাগুলিকে ব্যবহার করার কথা ভাবা হয়েছে।
০৮১৬
কামরার জানলা এবং ছাদের কাচের স্বচ্ছতা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সুইচের মাধ্যমে। সেই সুইচ থাকবে যাত্রীর কাছেই। তিনি ইচ্ছে করলে ওই কাচ স্বচ্ছ করে নেবেন। যাতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে বাইরের দৃশ্য।
০৯১৬
সেরামিক টাইল দিয়ে তৈরি হবে সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই কামরাগুলির ফ্লোর। যাত্রীদের আসন হবে রিসাইক্লেবল। অর্থাৎ ১৮০ ডিগ্রি অবধি ঘোরানো যাবে আসনগুলিকে। যাতে যাত্রাপথের কোনও মনোরম দৃশ্যই তাঁর দৃষ্টি থেকে বাদ না পড়ে যায়।
১০১৬
দুর্গম পাহাড়ি উপত্যকার মধ্যে দিয়ে ছুটে গেলেও বাইরের জগৎ থেকে যাতে যাত্রীরা বিচ্ছিন্ন না হয়ে পড়েন, তার জন্য ভিস্টাডোম কামরায় থাকবে জিপিএস নির্ভর পাবলিক অ্যাড্রেস এবং ইনফরমেশন সিস্টেম। ৪৪ আসনের এই কামরায় থাকবে ওয়াইফাই পরিষেবাও।
১১১৬
মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যও দেখতে ইচ্ছে না করলে যাত্রীরা বিনোদনের জন্য চোখ রাখতে পারেন ডিজিটাল পর্দায়। এ ছাড়াও তাঁদের মনোরঞ্জনের লক্ষ্যে গান শোনার জন্য থাকছে স্পিকার। প্রত্যেক আসনের সঙ্গে থাকবে মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার বন্দোবস্ত।
১২১৬
কামরার শেষপ্রান্তে থাকছে লাউঞ্জ। আসনবিহীন বেশ কিছুটা খোলা জায়গা সেখানে থাকবে। যাতে যাত্রীরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বড় কাচের জানলা দিয়ে উপভোগ করতে পারেন মনোরম দৃশ্য।
১৩১৬
সিসিটিভি-র নজরদারিতে থাকা কামরার দুই প্রান্তেই থাকবে স্লাইডিং ডোর। যাতে কোনও যাত্রী হুইলচেয়ারে থাকলেও তাঁর কামরায় উঠতে কোনও সমস্যা না হয়।
১৪১৬
যাত্রীদের জন্য থাকছে ছোট্ট প্যান্ট্রিও। হট কেস, মাইক্রোওয়েভ আভেন, কফিমেকার, বটলকুলার ছাড়াও সেখানে থাকবে রেফ্রিজারেটর এবং ওয়াশবেসিন।
১৫১৬
কামরায় থাকবে অত্যাধুনিক এফআরপি মডিউলার টয়লেট এবং স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা।
১৬১৬
ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি প্রথম দফায় ১০টি ভিস্টাডোম কামরা নির্মাণ করবে। ২টি কামরা নিয়ে পরীক্ষামূলক যাত্রা ইতিমধ্যেই সফল। বাকি কামরাগুলির নির্মাণ আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন হবে।