পোস্টার-যুদ্ধে কংগ্রেস ও বিজেপি। ছবি: পিটিআই।
রাহুল গান্ধীকে ‘রাবণ’ সাজিয়ে নিশানা করে শুধু কংগ্রেস নয়, অন্যান্য বিরোধী দলেরও তোপের মুখে পড়ল বিজেপি। বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধীকে ‘রাবণ’ সাজিয়ে পোস্টার তৈরি করে, তাঁকে ‘ধর্ম বিরোধী’ ও ‘রাম বিরোধী’ বলে তকমা দিয়েছিল। আজ কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। কলকাতা থেকে জম্মু, দিল্লি থেকে ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেস কর্মীরা নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের কুশপুতুল দাহ করেছেন। তাতে অবশ্য বিজেপি থামেনি। আজ বিজেপি রাহুল গান্ধীকে আমেরিকার ধনকুবের, নরেন্দ্র মোদীর সমালোচক জর্জ সোরসেরহাতের পুতুল সাজিয়ে পোস্টারপ্রকাশ করেছে।
কংগ্রেস নেতারা বলছেন, রাহুল গান্ধীকে বিজেপির এই ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকেই স্পষ্ট, ভারত জোড়ো যাত্রার পরে রাহুলের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তায় বিজেপি চিন্তিত। একই কথা বলেছেন উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত। তাঁর বক্তব্য, “রাহুল গান্ধীকে বিজেপি নেতৃত্ব ভয় পাচ্ছেন। এতে ২০২৪-এ বিজেপির হার সুনিশ্চিত হবে। রাবণ হল মানুষের বিকৃত প্রবৃত্তির প্রকাশ। বিজেপিতে রাবণ সব থেকে বেশি।” পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির মন্তব্য, “এতে বিজেপির মরিয়া, হতাশা মনোভাব স্পষ্ট। ওঁরা ইন্ডিয়া জোট নিয়ে চিন্তিত। ওঁরা বুঝতে পারছে, হিন্দু-মুসলিম বিভাজন-সহ সমস্ত কৌশল ব্যর্থ হচ্ছে। ওঁরা সনাতন ধর্মের কথা বলেন। সনাতন ধর্ম কি বিরোধীদের রাবণ বলতে শেখায়? বিজেপি নেতারা বিদেশে গিয়ে মুসলিম নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন, মসজিদে যান। কিন্তু দেশে মুসলিমদের পিটিয়ে মারা হয়। দেশের মধ্যে গডসে সেনা তৈরি করে ফেলেছে।” সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র আমিক জামেই মনে করিয়ে দিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদী সংসদে দাঁড়িয়েএক মহিলা সাংসদকে রামায়ণের শূর্পনখা বলেছিলেন।
রাহুলকে রাবণ সাজানোর পরেই প্রিয়ঙ্কা গান্ধী নরেন্দ্র মোদীকে প্রশ্ন করেছিলেন, বিজেপি রাজনৈতিক বিবাদের স্তর কতখানি নামাতে চায়? বিজেপি সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন, কংগ্রেসই এত দিন নরেন্দ্র মোদীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছে, গালিগালাজ করেছে। তাতে মোদীর জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে।
বিজেপির জবাবে কংগ্রেস আজ নরেন্দ্র মোদীকে আদানির হাতের পুতুল সাজিয়ে পোস্টার প্রকাশ করেছে। কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে সেবি তদন্ত শুরু করেছিল। এখন মনে হচ্ছে, সেবি সুপ্রিম কোর্টকে জানাবে যে তারা ২০১৭ সালে তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছিল। বাধ্য হয়ে ২০২০ সালে আবার তদন্ত শুরু করেছে।
চিনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে, চিন থেকে লগ্নি এসেছে অভিযোগে সংবাদ পোর্টাল নিউজক্লিক-এর বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ সন্ত্রাস-বিরোধী আইনে মামলা করে সংস্থার দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। কংগ্রেস আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর পিএম কেয়ারস তহবিলের সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছে। জয়রামের প্রশ্ন, “দিল্লি পুলিশের মতে যে সব চিনা সংস্থা পিএম কেয়ারসে কোটি কোটি টাকা দান করেছে, তারা ভারতে অস্থিরতা তৈরির ষড়যন্ত্র করছিল। তা হলে পিএম কেয়ারস তহবিলের অছি পরিষদের চেয়ারপার্সন (প্রধানমন্ত্রী)-র বিরুদ্ধে এফআইআর হবে না কেন?” জয়রামের বক্তব্য, মোদী শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ২০ বার বৈঠক করেছেন। দোলনায় দুলেছেন। ভারতের জমি দখল নিয়ে চিনকে দায়মুক্ত করে ছাড় দিয়েছেন। চিনা সংস্থার থেকে কোটি কোটি টাকা পিএম কেয়ারস-এ অনুদান নিয়েছেন। তাঁর প্রিয় বন্ধুর সংস্থায় চিনা নাগরিক আর্থিক নয়ছয়ের সঙ্গে যুক্ত। তাহলে আসলে কাকে বিদেশি শক্তি নিয়ন্ত্রণ করছে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy