যেই গাড়িতে চেপে শ্রদ্ধার পোশাক ফেলতে গিয়েছিলেন আফতাব, সেই গাড়ির হদিস পেল দিল্লি পুলিশ। ফাইল চিত্র।
খুনের সময় যে পোশাক পরেছিলেন শ্রদ্ধা, সেগুলি আবর্জনা স্তূপে ফেলে এসেছিলেন আফতাব আমিন পুনাওয়ালা বলে জেনেছে পুলিশ। যেই গাড়িতে চেপে প্রেমিকার পোশাক ফেলতে গিয়েছিলেন তরুণ, সেই গাড়ির হদিস পেল দিল্লি পুলিশ।
পুলিশ তদন্তে জেনেছে, যে আবর্জনার পাত্রে শ্রদ্ধার পরা জামা-কাপড় আফতাব ফেলে এসেছিলেন, সেখানকার জঞ্জাল সাধারণত দু’টি জায়গায় ফেলা হয়। সূত্রের খবর, সেই দু’টি জায়গায়ও তল্লাশি চালাবে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আফতাবকে দিল্লির সাকেত আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুলিশ আদালতে জানিয়েছে, যে অস্ত্র দিয়ে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করা হয়েছিল, সেই অস্ত্রের খোঁজ এখনও মেলেনি। শ্রদ্ধার মোবাইল এবং খুনের সময় যে জামা তিনি পরেছিলেন, সে সবেরও হদিস মেলা প্রয়োজন। এই কারণেই আফতাবকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছে দিল্লি পুলিশ। তাদের দাবি, শ্রদ্ধা খুন নিয়ে অভিযুক্তকে আরও জেরা করা প্রয়োজন।
গত ১৮ মে লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে গলা টিপে খুন করেন আফতাব আমিন পুনাওয়ালা বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের পর শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করেছিলেন আফতাব। তার পর ১৮ দিন ধরে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে। তার আগে দেহের টুকরো ভরে রাখার জন্য কিনেছিলেন ৩০০ লিটারের নতুন ফ্রিজ। সেই ফ্রিজ খুলে রোজ রাতে দেখতেন শ্রদ্ধার কাটা মাথা, জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র। দেহের সব টুকরো ফেলে দেওয়ার পর ফ্রিজটি ধুয়েমুছেও রেখেছিলেন আফতাব। আরও জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধার আগে আরও অনেক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আফতাবের।
চলতি মাসেই শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়ালকর মুম্বই পুলিশের দ্বারস্থ হন। এর পরেই মুম্বই পুলিশ শ্রদ্ধার ফোনের তথ্য খতিয়ে জানতে পারে, দিল্লিতে গিয়েছিলেন তিনি। তদন্ত শুরু করে দিল্লি পুলিশ। গত শনিবার গ্রেফতারের পর আফতাব স্বীকার করেন, বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বলেই শ্রদ্ধাকে খুন করেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy