রাজীব গান্ধী-ইন্দিরা গান্ধী। ফাইল চিত্র ।
দেশের দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধীর হত্যা নাকি তাঁদের রাজনৈতিক মতাদর্শের জন্য হয়নি এবং তাঁরা শহিদ নন। তাঁদের মৃত্যু ছিল নিছকই দুর্ঘটনা! মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করলেন উত্তরাখণ্ডের মন্ত্রী গণেশ জোশী। গণেশ উত্তরাখণ্ডের কৃষি, কৃষক কল্যাণ, গ্রামোন্নয়ন এবং সেনাকল্যাণ মন্ত্রী।
গনেশের কথায়, ‘‘আমার রাহুল গান্ধীর বুদ্ধি নিয়ে করুণা হয়। শহিদ হওয়া গান্ধী পরিবারের একচেটিয়া অধিকার নয়। স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য ভগৎ সিংহ, সাভারকর এবং চন্দ্রশেখর আজাদকে শহীদ হতে দেখেছিল দেশবাসী। গান্ধী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যা ঘটেছিল তা দুর্ঘটনা ছিল। শহিদ হওয়া এবং দুর্ঘটনার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।’’ কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সমাপ্তি নিয়ে কথা বলার সময় এই মন্তব্য করেন গনেশ।
রাহুল প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘এক জন মানুষের ততটাই কথা বলা উচিত, যতটা তাঁর বুদ্ধি রয়েছে। যাঁদের বুদ্ধি কম, তাঁদের বেশি কথা বলা উচিত নয়।’’
রাহুল যে সুষ্ঠু ভাবে ভারত জোড়ো যাত্রা শেষ করতে পেরেছেন তাঁর কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই দিয়েছেন গণেশ।
তিনি বলেন, ‘‘কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীর। যদি তাঁর নেতৃত্বে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল না করা হত এবং জম্মু ও কাশ্মীরে স্বাভাবিক জীবন ফিরে না আসত, তাহলে রাহুল গান্ধী লাল চকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারতেন না।’’
কাশ্মীরে ভারত জোড়ো যাত্রা শেষে রাহুল তাঁর ঠাকুমা ইন্দিরা এবং বাবা রাজীবের হত্যাকাণ্ড নিয়ে শোকজ্ঞাপন করে বলেন, ‘‘মোদী, অমিত শাহ, বিজেপি এবং আরএসএস-এর মতো যারা হিংসাকে প্রশ্রয় দেয়, তারা আমার যন্ত্রণা বুঝবে না। এই যন্ত্রণা কেবল এক জন সেনা সদস্যের পরিবার বুঝবে, পুলওয়ামায় নিহত সিআরপিএফ কর্মীদের পরিবার বুঝবে, কাশ্মীরের বাসিন্দারা বুঝবে৷’’
সেই প্রসঙ্গেই গান্ধী পরিবার নিয়ে এই মন্তব্য করেন উত্তরাখণ্ডের মন্ত্রী গণেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy