—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গত কাল পর্যন্তও ‘সঙ্গম শুদ্ধ ভোজনালয়’ হিসেবেই ছিল পরিচিতি। তবে যোগী আদিত্যনাথের পুলিশের নির্দেশে ২৪ ঘণ্টায় বদলে গেল বহুদিনের নাম। আজ থেকে ওই খাবারের দোকানের নাম ‘সেলিম শুদ্ধ ভোজনালয়’। শুধু একটি নয়, মুজফ্ফরনগরে এমন বহু দোকানের নাম পাল্টে গিয়েছে রাতারাতি!
কাঁওয়ার যাত্রাপথে সমস্ত খাবারের দোকানের বাইরে মালিকের নাম প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল যোগী-পুলিশ। তার পরেই বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে বিজেপি সরকার। অভিযোগ ওঠে ধর্মীয় মেরুকরণের। নাৎসি জার্মানির সঙ্গেও তুলনা শুরু হয়। আজ যোগী প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, কাঁওয়ার যাত্রাপথে রাজ্যের সর্বত্রই দোকান-মালিকের নাম জানাতে হবে। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ডও।
আজ এই নির্দেশের বিরোধিতায় কংগ্রেসের প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা এক্স-এ লিখেছেন, আমাদের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে নিশ্চয়তা দেয়, তাঁদের সঙ্গে জাত, ধর্ম, ভাষা কিংবা অন্য কোনও নিরিখে বৈষম্য করা হবে না’। প্রিয়ঙ্কার দাবি, অবিলম্বে এই নির্দেশ প্রত্যাহার করতে হবে। এমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসির অভিযোগ, মুসলিম বিক্রেতাদের থেকে কোনও পুণ্যার্থী যাতে খাবার না কেনেন, সেই জন্যই ওই পদক্ষেপ করা হয়েছে। বিতর্কের জেরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, কোনও ধর্মীয় বিভাজনের উদ্দেশে নয়, কাঁওয়ার পুণ্যার্থীদের স্বার্থেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
যাবতীয় তরজার মাঝে হরিদ্বারের পুলিশ সুপার জানান, সমস্ত খাবারের দোকানের সামনে মালিকের নাম, মোবাইল ফোনের নম্বর এবং কিউআর কোড প্রদর্শন আবশ্যিক। নির্দেশ অমান্যে কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy