Advertisement
২৮ অক্টোবর ২০২৪
Air Pollution

নয়ডায় বায়ু দূষণের জন্যও পাকিস্তান দায়ী! দাবি উত্তরপ্রদেশের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকের

নয়ডা থেকে পাকিস্তান সীমান্তের দূরত্ব ৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি। তবে উত্তরপ্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকের দাবি, পাকিস্তানে শস্যের গোড়া পোড়ানোর জন্যই নয়ডার বাতাস দূষিত হচ্ছে।

নয়ডার সেক্টর ১৬ এলাকায় ধোঁয়াশার চাদর।

নয়ডার সেক্টর ১৬ এলাকায় ধোঁয়াশার চাদর। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:০৬
Share: Save:

দিল্লি সংলগ্ন নয়ডার বায়ু দূষণের জন্য এ বার পাকিস্তানের দিকে দায় ঠেলল উত্তরপ্রদেশের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। দিল্লির বায়ু দূষণ নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। শীর্ষ আদালতেও প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্রের ভূমিকা। একাধিক বার অভিযোগ উঠেছে, পঞ্জাব ও হরিয়ানায় শস্যের গোড়া পোড়ানোর জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তবে উত্তরপ্রদেশের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিক ডিকে গুপ্তার দাবি, পাকিস্তানে শস্যের গোড়া পোড়ানোর জন্যই গাজ়িয়াবাদ, নয়ডা এবং গ্রেটার নয়ডার বাতাস দূষিত হচ্ছে।

বস্তুত নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা কিংবা গাজ়িয়াবাদ থেকে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের নিকটতম বিন্দুর দূরত্বও ৫০০ কিলোমিটারের বেশি। তবে গুপ্তা বলেন, “চলতি বছরে এই প্রথম বার নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা এবং গাজ়িয়াবাদে একই দিনে বাতাসের গুণগত মান ‘খুব খারাপ’। এর জন্য পাকিস্তানই দায়ী। সীমান্তের ও পারে শস্যের গোড়া পোড়ানো ক্রমাগত বৃদ্ধি হচ্ছে। সেখান থেকে দূষিত ধোঁয়া সীমান্তের এ পারে চলে আসছে।”

গত রবিবার উত্তরপ্রদেশের তিন শহরেই বাতাসের গুণগত মানের সূচক ‘খুব খারাপ’ ছিল। নয়ডায় সূচক ছিল ৩০৪, যা শনিবারের তুলনায় ১৬৯ বেশি। গ্রেটার নয়ডায় ছিল ৩১২ এবং গাজ়িয়াবাদে ছিল ৩২৪। দিল্লিতে রবিবার বাতাসের গুণগত মানের সূচক ছিল ৩৫২। রবিবারের সূচকে উত্তরপ্রদেশের তিন শহরেই বাতাসের গুণগত মান ‘খুব খারাপ’ ধরা পড়ার পরই এই মন্তব্য করেছিলেন সে রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিক। যদিও সোমবার সকালে উত্তরপ্রদেশের তিন শহরেই বাতাসের গুণগত মান অনেকটা উন্নত হয়েছে। নয়ডায় ছিল ২৬৭, গ্রেটার নয়ডায় ২৪৮ এবং গাজ়িয়াবাদে ২৫২। দিল্লিতে সোমবার সকালে বাতাসের গুণগত মানের সূচক ছিল ৩২৮।

উল্লেখ্য, দিল্লির দূষণ নিয়ে গত সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল কেন্দ্র। দিল্লির দুই পড়শি রাজ্য পঞ্জাব ও হরিয়ানায় শস্যের গোড়া পোড়ানোর জন্যই বাতাসের গুণগত মান খারাপ হচ্ছে বলে মনে করছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত আরও জানিয়েছিল, কেন্দ্র পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে সংশোধনী আনার কারণে সেটি কার্যত ‘দুর্বল’ হয়ে পড়েছে। তবে ২৩ অক্টোবর কেন্দ্রের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি সুপ্রিম কোর্টকে আশ্বস্ত করেছিলেন, ১০ দিনের মধ্যে নিময়বিধি চূড়ান্ত করে আইনও সম্পূর্ণ কার্যকর হয়ে যাবে। পঞ্জাব ও হরিয়ানা উভয় রাজ্যেরই পরিবেশ সচিব এবং কৃষি দফতরের অতিরিক্ত সচিবকে শোকজ় করা হয়েছে বলেও আদালতে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রের আইনজীবী।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE