—প্রতীকী চিত্র।
বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখে এক সময় শোনা গিয়েছিল ‘গরুর দুধে সোনা’ পাওয়ার তত্ত্বের কথা। এ বার গরুর আর এক ‘উপকারিতা’-র কথা শোনালেন বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী সঞ্জয় সিংহ গাংওয়ার। গোশালায় শুয়ে থাকলে এবং সেই জায়গা পরিষ্কার করলে না কি ক্যানসার থেকে মুক্তি মেলে! উত্তরপ্রদেশে এক গোশালার উদ্বোধনে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।
শুধু তাই নয়, গো-সেবা করে রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে বলে মত মন্ত্রীর। যে রোগীদের রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের গরুর পিঠে দিনে দু’বার চাপড় মারার পরামর্শও দেন তিনি। ১০ দিনের মধ্যেই এর ফল পাওয়া যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন সঞ্জয়। তাঁর মতে, গরুর পিঠে দিনে দু’বার করে চাপড় মারলে ১০ দিনের মধ্যে রক্তচাপের ওষুধের ডোজ় ২০ মিলিগ্রাম থেকে ১০ মিলিগ্রামে নেমে আসবে। ঘুঁটে পোড়ানো ধোঁয়া মশা তাড়াতেও সাহায্য করে বলে জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বোঝানোর চেষ্টা করেন, গরুর শরীর থেকে উৎপন্ন হওয়া প্রতিটি জিনিসই কাজের। সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার সময়েই এই মন্তব্যগুলি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের মাঠে-ঘাটে গরু ঘুরে বেড়ানো নিয়ে অনেক দিন ধরেই সরব হয়েছেন কৃষকদের একাংশ। বাঁধনহীন গরু চাষের ক্ষেতে প্রবেশ করায় সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় কৃষকদের। তা নিয়েও রবিবার মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী। সঞ্জয়ের দাবি, গরুর প্রতি শ্রদ্ধার অভাব থেকেই এই ধরনের অভিযোগ উঠে আসে। তিনি বলেন, “যে হেতু আমরা মায়ের (‘গোমাতা’) সেবা করছি না, তাই মা আমাদের অন্য কোথাও ক্ষতি করছেন।”
উল্লেখ্য, গত মাসেই মহারাষ্ট্রে বিজেপি-এনসিপি (অজিত)-শিবসেনার (শিন্ডে) জোট সরকার দেশি গরুদের ‘রাজ্যমাতা’-র তকমা দিয়েছে। উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীস সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, “দেশি গরুরা কৃষকদের কাছে আশীর্বাদস্বরূপ। তাই আমরা সেগুলিকে রাজ্যমাতা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy