Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
School Teacher

স্কুলে না গিয়েই বেতন নেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়কের স্ত্রী! পড়ানোর জন্য ‘ভাড়া’ করেছেন শিক্ষকও

স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, প্রজাপতি বিধায়ক হওয়ার পর দেশপ্রাচীর ‘দাপট’ আরও বেড়েছে। মাসে এক দিন স্কুলে হাজিরা দেন। তখন স্কুলের উপস্থিতির খাতায় পুরো মাসের হাজিরার স্বাক্ষর করে আসেন।

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
লখনউ শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৩ ১৪:৩৭
Share: Save:

তিনি স্কুলে না গিয়েই মাসে মাসে বেতন তোলেন। তবে মাসে এক দিন মাত্র হাজিরা দেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরের বিজেপি বিধায়ক মনোজ প্রজাপতির স্ত্রী দেশপ্রাচী চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

‘আজ তক’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামিরপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক প্রজাপতি। তাঁর স্ত্রী দেশপ্রাচী একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষক। ঘটনাচক্রে, যে স্কুলে তিনি চাকরি পেয়েছেন, সেই স্কুলটি আবার প্রজাপতির পৈতৃক গ্রামেই। ওই গ্রামের কন্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত দেশপ্রাচী। অভিযোগ, স্কুলে নিজে হাজিরা না দেওয়ায় তাঁর পরিবর্তে গ্রামেরই এক তরুণীকে মাসে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে ‘ভাড়া’ রেখেছেন বিধায়ক-পত্নী। সেই তরুণীই স্কুলে দেশপ্রাচীর জায়গায় হাজিরা দেন, ক্লাসও নেন।

স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, প্রজাপতি বিধায়ক হওয়ার পর দেশপ্রাচীর ‘দাপট’ আরও বেড়েছে। মাসে এক দিন স্কুলে হাজিরা দেন। সেই সময় স্কুলের উপস্থিতির খাতায় পুরো মাসের হাজিরার স্বাক্ষরও করে আসেন। স্কুলেরই প্রধানশিক্ষক পুষ্পা সচান দাবি করেছেন, বিধায়ক-পত্নী মাসে এক বার আসেন। সারা মাসের হাজিরার স্বাক্ষর করে চলে যান। গ্রামের এক তরুণী শ্রেয়া সচানকে পড়ানোর দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।

‘আজ তক’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্কুলের পড়ুয়ারাও নাকি দাবি করেছে যে, দেশপ্রাচী ম্যাডাম মাসে এক বার আসেন স্কুলে। কিছু ক্ষণ থাকার পর বেরিয়ে যান। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড। বোর্ডের এক শীর্ষ আধিকারিক অলোক সিংহ জানিয়েছেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যদি সত্যিই এমন ঘটনা ঘটে থাকে, তা হলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

School Teacher BJP MLA Uttar Pradesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE