অস্থায়ী মর্গে রাখা নিহতদের ছবি। চলছে চিহ্নিতকরণ। —নিজস্ব চিত্র।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সরকারি ঘরে রাখা হয়েছে একের পর এক দেহ। সামনে টেবিলে রাখা করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় নিহতদের ছবি। পাশে সাঁটানো একটার পর একটা নম্বর। উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে দেহ শনাক্ত করলে তা তুলে দেওয়া হচ্ছে পরিবারের হাতে। রবিবার সকালে এমনই ছবি দেখা গেল বালেশ্বরের ‘নর্থ ওড়িশা চেম্বার অফ কমার্স ইন্ডাস্ট্রি’র হলঘরে। এখনও সেখানে শতাধিক দেহ রাখা আছে। তাদের এখনও চিহ্নিতকরণ হয়নি।
‘নর্থ ওড়িশা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর ছাড়াও বাহানগা হাই স্কুলে একটি হলঘরে অস্থায়ী মর্গ তৈরি হয়েছে। সেখানেও বেশ কয়েকটি দেহ এখনও শনাক্ত হয়নি বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। সকালে ওড়িশা সরকার থেকে জানানো হয় ১৬০টি দেহ শনাক্ত করা যায়নি। এর মধ্যে ‘নর্থ ওড়িশা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র অস্থায়ী মর্গে আছে প্রায় ১০০টি দেহ। এক দিকে শোয়ানো সব দেহ। অন্য দিকে, তাদের ছবি এক একটি নম্বর দিয়ে টেবিলে সাজিয়ে রাখা রয়েছে। করমণ্ডল দুর্ঘটনায় যে সব যাত্রী নিখোঁজ তাঁদের আত্মীয়-পরিজনেরা আসছেন সেখানে। নিখোঁজের পরিচয় জানানোর পর মিলিয়ে দেখা হচ্ছে ছবি। প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেহ দেখে চিহ্নিত করতে পারলে তখনই তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে ওড়িশা প্রশাসন। তবে পরে দেহগুলি ভুবনেশ্বর এমসের মর্গে নিয়ে চলে যাওয়া হবে।
রবিবার সকালে ওড়িশা সরকার জানিয়েছে করমণ্ডল দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭৫। তবে রেলের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৮৮ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ৮০০-র বেশি যাত্রী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ৫৬ জনের আঘাত গুরুতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy