জম্মুর কিরয়ানি তালাব বস্তি এলাকায় গিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে দেখা করল রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিদল। রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর)-এর দুই সদস্য তোমোকো ফুকুমুরা ও রাগিনী ট্রাকরু জ়ুটুশি আজ রোহিঙ্গা পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। তবে তাঁরা দেখা করতে পারেননি পুলিশকর্তাদের সঙ্গে।
নরওয়াল এলাকার রোহিঙ্গারা সম্প্রতি অভিযোগ তোলেন, তাঁরা ইউএনএইচসিআর-এ নথিভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও জল ও বিদ্যুত পাচ্ছেন না। গত ৭ ডিসেম্বর জম্মু ও কাশ্মীরের জলশক্তিমন্ত্রী জাভেদ আহমেদ রানা জানান, শরণার্থীদের ফেরানো নিয়ে কেন্দ্র সিদ্ধান্তে না-আসা পর্যন্ত তাঁদের বসতি এলাকাগুলিতে জল ও বিদ্যুৎ চালু থাকবে। কিন্তু তার পরেও অনেক জায়গায় সমস্যার সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ উঠছে। এ দিকে, বিজেপি ক্রমশ রোহিঙ্গাদের ফেরানোর দাবিতে সুর চড়াচ্ছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের দলের সফর ছিল এই আবহের মধ্যেই।
বিজেপির অভিযোগ, রাজনৈতিক ফায়দার কথা ভেবে জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন দল বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের বসতি গড়তে ‘মদত’ দিচ্ছে। তাদের দাবি, জল এবং বিদ্যু়তের অনুমোদন দিলে সেটা শরণার্থীদের জম্মু-কাশ্মীরে বসবাসের অধিকারের প্রশ্নে বর্মের মতো সুরক্ষা দিয়ে দেবে। মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার অবশ্য বক্তব্য, তাঁর দল এনসি রোহিঙ্গাদের জম্মুতে আনেনি। তিনি বলেছেন, “কেন্দ্র যদি ওদের (রোহিঙ্গা) ফেরাতে চায় তা হলে তা করুক। কিন্তু ওদের তো আমরা অনাহারে, ঠান্ডায় মৃত্যুর মুখে ফেলে দিতে পারি না। এটা মানবিক ব্যাপার।”
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জম্মু এবং কাশ্মীরে বিদেশি নাগরিক আছেন অন্তত ১৩,৭০০। তাঁদের অধিকাংশ রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশি। ২০০৮ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরে বিদেশি নাগরিকের সংখ্যা ছ’হাজারের বেশি বেড়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)