জম্মু ও কাশ্মীরে সীমান্ত পারাপারের জন্য কোথাও সুড়ঙ্গ খোঁড়া হচ্ছে কি না, তার উপর নজরদারি আরও বৃদ্ধি করতে চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার জম্মুর কাঠুয়ায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এমনটাই জানালেন তিনি। দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে কেন্দ্র বৈদ্যুতিন নজরদারি প্রযুক্তি ব্যবহার করা শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
তিন দিনের সফরে রবিবার রাতেই জম্মু ও কাশ্মীরে পৌঁছেছেন শাহ। সোমবার জম্মুর কাঠুয়ায় হীরানগর সেক্টরে সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি চৌকি পরিদর্শন করেন শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সীমান্তে কোথাও সুড়ঙ্গ রয়েছে কি না, তার উপর নজর রাখতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। ঘটনাচক্রে, গত শনিবারই কাঠুয়ায় জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধির জন্য শাহের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর মতে এই বৈদ্যুতিন নজরদারি ব্যবস্থার দু’টি সুবিধা রয়েছে। প্রথমত, যদি (শত্রুপক্ষের দিক থেকে) কোনও গতিবিধি নজরে আসে, দ্রুত পদক্ষেপ করা যাবে। দ্বিতীয়ত, প্রযুক্তিগত সুবিধা ব্যবহার করে সুড়ঙ্গপথ খুঁজে সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব হবে।
গত সপ্তাহেই জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। পরে ভারতীয় সেনা বিবৃতি দিয়ে জানায়, নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানি সেনা ভারতে প্রবেশ করায় কৃষ্ণঘাঁটি সেক্টরে একটি মাইন বিস্ফোরণ ঘটে। এর পর তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে বিনা প্ররোচনায় লাগাতার গুলি চালিয়েছে। ওই ঘটনার কয়েক দিন পরেই গত শনিবার বিকেলে কাঠুয়ায় জঙ্গি কার্যকলাপ নজরে আসে। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় নিরাপত্তাবাহিনীর। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাঠুয়ার রামকোট এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। সেই সময়ই জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা গোলাবর্ষণ শুরু করে। পাল্টা জবাব দেন জওয়ানেরা।
আরও পড়ুন:
এই পরিস্থিতির মাঝেই রবিবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরে পৌঁছোন শাহ। সোমবার দুপুরে হীরানগরের কাছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-র ‘বিনয়’ সীমান্তচৌকিতে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে মোতায়েন জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলে সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন তিনি।