গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
দেড় দশক আগে তাঁর পিতা, প্রয়াত এমকে করুণানিধি ছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পদে। পুত্র এমকে স্ট্যালিনকে নিজের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী চিহ্নিত করে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়েছিলেন তিনি। ডিএমকে প্রধান তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন এ বার সেই উদাহরণ অনুসরণ করতে চলেছেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, শীঘ্রই তামিলনাড়ুর উপমুখ্যমন্ত্রী পদে পুত্র উদয়নিধিকে নিযুক্ত করতে চলেছেন তিনি। ডিএমকের এক মন্ত্রীও শুক্রবার এমনই দাবি করেছেন। প্রসঙ্গত, স্ট্যালিন মন্ত্রিসভার সদস্য তথা জনপ্রিয় তামিল অভিনেতা উদয়নিধির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে।
তামিলনাড়ুতে ২০২১ সালের মে মাসে বিধানসভা ভোটে জিতে এক দশক পরে ক্ষমতা দখল করেছিল ডিএমকে। স্ট্যালিন এবং উদয়নিধি দু’জনেই জিতেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে প্রথমে পুত্রকে মন্ত্রী করেননি তিনি। ২০২২-এর ডিসেম্বরে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছিলেন উদয়নিধি।
গত সেপ্টেম্বরে চেন্নাইয়ে লেখকদের একটি অনুষ্ঠানে উদয়নিধি বলেছিলেন, ‘‘সনাতন ধর্মের আদর্শকে মুছে ফেলার এই অনুষ্ঠানে আমায় আমন্ত্রণ জানানোয় আমি উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমাদের প্রথম কাজ হল বিরোধিতা নয়, সনাতন ধর্মের আদর্শকে মুছে ফেলা। এই সনাতন প্রথা সামাজিক ন্যায় এবং সাম্যের বিরোধী।’’ তিনি দাবি করেছিলেন, কিছু জিনিস আছে, যার বিরোধিতা যথেষ্ট নয়, তা নিশ্চিহ্ন করা দরকার। যেমন করোনা, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির বিরোধিতা নয়, তাদের নিশ্চিহ্ন করা দরকার, তেমনই সনাতন আদর্শকেও মুছে ফেলা দরকার।
তাঁর ওই মন্তব্যের বিতর্কের আঁচ পড়েছিল জাতীয় রাজনীতিতেও। প্রয়াত সিএন আন্নাদুরাই ১৯৪৯ সালে যে মূল আদর্শগুলিকে সামনে রেখে ডিএমকের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তা হল দ্রাবিড় সংস্কৃতির রক্ষা এবং নাস্তিকতার অনুশীলন। পাশাপাশি, পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতিরও বিরোধী ছিলেন তিনি। কিন্তু আন্নাদুরাইয়ের ঘনিষ্ঠতম অনুগামী করুণানিধি সেই আদর্শ অনুসরণ করেননি। এ বার স্ট্যালিনও সেই পথই অনুসরণ করলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy