লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকে বিজেপি নেতৃত্বকে নিশানা করার ধারাবাহিকতায় রাশ টানতে সক্রিয় হল আরএসএস (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ)। সঙ্ঘের প্রথম সারির নেতা ইন্দ্রেশ কুমার বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের খোঁচা দিয়ে মন্তব্য করার পরেই দেখা গেল এই প্রচেষ্টা।
স্বয়ং ইন্দ্রেশ শুক্রবার তাঁর বক্তব্যের নতুন ব্যাখ্যা দিয়ে দাবি করেছেন, আদতে লোকসভা ভোটে বিজেপির জয়ের হ্যাটট্রিককে সাধুবাদ জানাতে চেয়েছিলেন তিনি। এ বারের ভোটে বিজেপি একক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার পর থেকেই প্রকাশ্যে সরব হতে শুরু করেন সঙ্ঘ নেতৃত্ব। প্রথমে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত কারও নাম না করে বার্তা দেন, প্রধান সেবককে নম্র হতে হবে। তাঁর ওই বার্তা মোদীর উদ্দেশে বলেই সঙ্ঘের একটি সূত্র জানিয়েছে।
এর পর সঙ্ঘের মুখপত্র ‘অর্গানাইজ়ার’এ দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের এনডিএ জোটে অন্তর্ভুক্তির সমালোচনা করে সরব হয় আরএসএস। সেই সঙ্গে লেখা হয়, এনসিপি নেতা অজিত পওয়ারের এনডিএতে অন্তর্ভুক্তির ফলে বিজেপির পুরনো কর্মীরা মনঃক্ষুণ্ণ হন। কারণ, তাঁরা বরাবরই কংগ্রেসের ভাবধারার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে এসেছেন। (কংগ্রেসি ভাবধারার নেতা) অজিতের এনডিএতে যোগদানে ‘ব্র্যান্ড বিজেপি’ বাজারদরও নেমে যায়।
আরও পড়ুন:
এর পরেই বিজেপি নেতাদের ঔদ্ধত্যের সমালোচনা করে সরব হন আরএসএসের আর এক শীর্ষনেতা ইন্দ্রেশ। বৃহস্পতিবার রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরের অদূরে কানোটায় একটি সভায় তিনি লোকসভা ভোটে খারাপ ফলের জন্য বিজেপি নেতাদের ঔদ্ধত্যকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা রামের ভক্ত ছিলেন, তাঁরা ক্রমশ উদ্ধত হয়ে উঠছিলেন। নিজেদের সবচেয়ে বড় দল বলছিলেন। তাই ভগবান রামই তাঁদের ২৪১-এ থামিয়ে দিয়েছেন।’’
আরও পড়ুন:
যদিও ওই মন্তব্য নিয়ে জল্পনা শুরু হওয়ার পরেই ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’-এ নামতে দেখা গিয়েছে ইন্দ্রেশকে। বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘আমি বলেছিলাম, ‘যাঁরা ভগবান রামের নামে সংকল্প গ্রহণ করেছিলেন, তাঁরাই এখন ক্ষমতায়। আর যাঁরা রামের বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁরা সকলেই ক্ষমতার বৃত্তের বাইরে’।’’ এর পর এক ধাপ এগিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘নরেন্দ্র মোদীজির নেতৃত্বে তৃতীয় বার সরকার গঠিত হয়েছে। জনগণের মধ্যে প্রবল আস্থা রয়েছে যে, তাঁর নেতৃত্বে দেশ দ্রুত অগ্রসর হবে। আমরা আশা করি এবং কামনা করি, এই আস্থার প্রত্যাশিত ফল মিলবে।’’