গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
এনসিপি নেতা অজিত পওয়ারের সঙ্গে সমঝোতা করার ফলে লোকসভা ভোটের আগেই বিজেপির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে শুক্রবার আরএসএসের মুখপত্রে অভিযোগ করা হয়েছিল। শুক্রবার তার ‘জবাব’ দিলেন অজিত-ঘনিষ্ঠ এনসিপি নেতা ছগন ভুজবল।
লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে এনডিএ-র সার্বিক খারাপ ফলের জন্য অজিতের এনসিপি-র সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের হাত মেলানোকে দায়ী করা হয়েছে আরএসএস মুখপত্রে লেখা নিবন্ধে। মহারাষ্ট্রে ৪৮টি আসনের মধ্যে এনডিএ পেয়েছে ১৭টি আসন। বিজেপি সাতটি, দুই শরিক শিবসেনা (শিন্দে) ও এনসিপি (অজিত) গোষ্ঠী যথাক্রমে জিতেছে ন’টি ও একটি আসন। পাঁচ বছরের আগের ফল থেকে প্রায় দু’ডজন আসন কম পেয়েছে এনডিএ জোট।
সঙ্ঘের মুখপত্রে বলা হয়েছে, অহেতুক রাজনীতির ঘুঁটি সাজাতে গিয়ে দল ভাঙানো বিজেপির পক্ষে হিতে বিপরীত হয়েছে। যার উদাহরণ মহারাষ্ট্র। রাজ্যে বিজেপি-শিবসেনা সরকারের প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও এনসিপি-তে ভাঙন ধরানো হয়। যার ফলে অজিত পওয়ার এনডিএতে যোগ দেন। সঙ্ঘের অভিযোগ, অজিতের এনডিএতে অন্তর্ভুক্তির ফলে বিজেপির পুরনো কর্মীরা মনঃক্ষুণ্ণ হন। কারণ, তাঁরা বরাবরই কংগ্রেসের ভাবধারার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে এসেছেন। (কংগ্রেসি ভাবধারার নেতা) অজিতের এনডিএতে যোগদানে ‘ব্র্যান্ড বিজেপি’ বাজারদরও নেমে যায়।
তা ছাড়া, ভোটের আগে এনডিএতে যোগ দেওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে যে নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, সে কথাও লেখা হয়েছে সঙ্ঘের মুখপত্রে। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী ভুজবল সঙ্ঘের মুখপত্রের ওই নিবন্ধ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কিছুটা তো অবশ্যই সত্যি। অশোক চহ্বাণ, মিলিন্দ দেওরাও তো বিজেপির সঙ্গী হয়েছিলেন।’’ প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী চহ্বাণ লোকসভা ভোটের আগে সরাসরি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের মন্ত্রিসভার সদস্য মিলিন্দ যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির সহযোগী শিন্ডেসেনায়। ঘটনাচক্রে, ওই দু’জনের বিরুদ্ধেও নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
আরএসএসকে নিশানা করে ভুজবল বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে কেন বিজেপির ফল ও রকম হল? সেখানে তো তেমন কোনও সহযোগীকে নিতে হয়নি।’’ প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে এ বার সমাজবাদী পার্টি-কংগ্রেস জোটের থেকে কম আসন পেয়েছে বিজেপি। এনসিপির আর এক নেতা প্রফুল পটেলও সঙ্ঘের মুখপত্রের নিবন্ধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টিকে যে ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, তা ঠিক নয়।’’ অন্য দিকে, প্রবীণ আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার লোকসভা ভোটে খারাপ ফলের জন্য বিজেপি নেতার ঔদ্ধত্যকে দায়ী করেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা রামের ভক্ত ছিলেন, তাঁরা ক্রমশ উদ্ধত হয়ে উঠছিলেন। তাই ভগবান রামই তাঁদের ২৪১-এ থামিয়ে দিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy