ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে আবার মৃত্যু মাওবাদীর। শনিবার সকাল থেকে বিজাপুর জেলার ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যানে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে শুরু হওয়া গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন অন্ততপক্ষে ১৬ জন মাওবাদী। এই সংঘর্ষে সামান্য আহত হয়েছেন বাহিনীর এক জওয়ান।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, গোয়েন্দা সূত্রে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-এর সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপল্স লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র গেরিলাদের গতিবিধির খবর পেয়ে ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যানের একাংশ ঘিরে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল নিরাপত্তাবাহিনী। শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ দু’তরফের গুলির লড়াই শুরু হয়।
আরও পড়ুন:
বিজাপুর জেলা পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দুই মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও দু’তরফের গুলির লড়াই চলছে। এলাকায় পাঠানো হয়েছে সিআরপিএফ এবং ডিসট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড (ডিআরজি)-এর বাড়তি বাহিনী। চলতি বছর এই নিয়ে ছত্তীসগঢ়ে ১৩৭ জন মাওবাদী নেতা-কর্মী নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১২১ জন বিজাপুর-সহ বস্তার ডিভিশনের সাতটি জেলায় নিহত হয়েছেন। এই তালিকায় রয়েছেন মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়রাম ওরফে চলপতি।
মাওবাদীদের মূলস্রোতে ফেরাতে ২০২০ সালের জুন মাসে ‘লোন ভারাতু’ (গোন্ড ভাষায় যার অর্থ ‘বাড়ি ফিরুন’) কর্মসূচি শুরু হয়েছিল ছত্তীসগঢ়ে। সাম্প্রতিক সময় একই উদ্দেশ্যে শুরু হয় ছত্তীসগঢ় ‘নিয়া নার নিয়া পুলিশ’ (আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ) এবং ‘নিয়াদ নেল্লানার’ (আপনার ভাল গ্রাম) প্রচার কর্মসূচি। যার পরিণামে এখনও পর্যন্ত প্রায় এক হাজার মাওবাদী অস্ত্র ছেড়ে সরকারি পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় শামিল হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই ঘোষণা করেছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ ‘মাওবাদীমুক্ত’ করা হবে।