ত্রিপুরা হাইকোর্ট। ছবি: সংগৃহীত।
পরস্পর বিরোধী হলফনামা জমা দিয়ে হাইকোর্টে বেকায়দায় ত্রিপুরা সরকার। সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিতকরণের মামলায় অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিতে বলল ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এ এ কুরেশী এবং বিচারপতি অরিন্দম লোধের ডিভিশন বেঞ্চ।
বামফ্রন্টের শাসন কালে সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিতকরণের জন্যে ধর্নায় বসেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। সেই সময় সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিতকরণে ত্রিপুরা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়। শিক্ষকদের তরফে তাঁদের আইনজীবী অরুণকান্তি ভৌমিক বলেছিলেন, দেশের বিভিন্ন রাজ্য সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিত করেছে। কিন্তু বামফ্রন্ট সরকার তাদের নিয়মিত করেনি। নির্বাচনের আগে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, ক্ষমতায় এলে তাঁদের নিয়মিত করা হবে। বিজেপি ক্ষমতায় আসার দু’বছর পর শিক্ষকরা ফের আদালতের দ্বারস্থ হন।
শিক্ষকদের তরফে আইনজীবী শমীক দেব বলেন, আগে ত্রিপুরা সরকার বলেছিল, সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের বিএড, ডিএলএড কোর্স নেই এবং তাঁরা টেট উত্তীর্ণ নন। তাই তাঁদের নিয়োগ সম্ভব নয়। তাঁদের অনেকেই পর্যায়ক্রমে বিএড কিংবা ডিএলএড কোর্স করেছেন। কিন্তু এখনও তাঁদের নিয়মিত করছে না ত্রিপুরা সরকার। তিনি বলেন, ‘‘গত ২৪ জানুয়ারি ত্রিপুরা সরকার আদালতে হলফনামা দিয়ে জানায়, সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের নিয়োগ শুধু সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে হয়েছে। তা ছাড়া, তাঁদের চাকরি একটি প্রকল্পের অধীনে হয়েছে। তাই তাঁদের নিয়মিত করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকারের বক্তব্য পরস্পর বিরোধী।’’ সরকারি আইনজীবী দেবালয় ভট্টাচার্য জানান, ত্রিপুরা সরকার সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের মামলায় হলফনামা জমা দিয়েছিল। আজ আদালত অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিতে বলেছে এবং জরুরি ভিত্তিতে শুনানির নির্দেশ দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy