ফাইল ছবি
কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে নরেন্দ্র মোদী সরকার অবিজেপি রাজ্যগুলির উপরে চোখ রাঙাচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযোগে সংসদের ভিতরে ও বাইরে আক্রমণাত্মক হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কাণ্ডের পরে আপাতত তৃণমূলের সেই বিরোধিতার বেলুন অনেকটাই চুপসে গেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির।
সংসদের চলতি বাদল অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহে তৃণমূল কংগ্রেস পূর্ণ প্রতিনিধিত্ব করতে পারেনি, ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির কারণে। আগামী সোমবার থেকে সংসদের দু’টি কক্ষে ঝাঁপানোর কথা তাদের। দলীয় সূত্রের খবর, যে বিষয়গুলি নিয়ে বিজেপি সরকারকে আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, তার মধ্যে অন্য বারের মতো ইডি বা সিবিআই-এর অপপ্রয়োগ থাকছে না। রাজনৈতিক সূত্রের মতে, পার্থকে দুর্নীতির কারণে গ্রেফতার করা এবং তাঁর পরিচিতার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে নগদ উদ্ধারের বিষয়টি নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি উত্তাল, তখন এই নিয়ে পাল্টা আক্রমণে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে নেই তৃণমূল সাংসদেরা। দিল্লিতেও বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় আক্রমণ শানাচ্ছেন বিজেপির শীর্ষ নেতা-মন্ত্রীরা। কংগ্রেসও ঘটনার নিন্দা করেছে। দিল্লির রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, পার্থ-কাণ্ডে দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের ভাবমূর্তিতে কিছুটা হলেও কালির ছিটে লাগল।
তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে, ইডি-র অস্বস্তিকর প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেও মানুষের স্বার্থের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে আক্রমণ শানানো হবে। তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক জিএসটি বৃদ্ধি। অবিজেপি রাজ্যগুলিকে অর্থনৈতিক ভাবে চাপে ফেলার অভিযোগেও লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সরব হবে তৃণমূল।
অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর অবমাননা এবং রাজ্যের বকেয়া না মেটানোর অভিযোগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে রাজ্যকে তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করছে মোদী সরকার।’’ অধিবেশনে এই অভিযোগকে ফের সামনে নিয়ে আসতে চলেছে তৃণমূল।
বিরোধী ঐক্যের খাতিরে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক মধুর রেখে চলার ইঙ্গিত তৃণমূল দিচ্ছে না। শুক্রবারই দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন জানান, সমান সম্মান দিয়ে চললে তবেই মসৃণ হবে বিরোধী সমন্বয়। আজও পার্থ-কাণ্ডে নিন্দায় মুখর কংগ্রেস। তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের ঘরে গিয়ে সমন্বয় বৈঠক করার প্রশ্নই উঠছে না। জনতার স্বার্থের সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলি নিয়ে অধিবেশনের ফাঁকেই বড়জোর ঘরোয়া ভাবে বিরোধী সংসদীয় নেতাদের সঙ্গে (কংগ্রেস-সহ) আলোচনা করে নিতে রাজি তৃণমূল। তবে সেই ঘরোয়া ভাবে কক্ষ সমন্বয়ও সম্ভব শুধুমাত্র রাজ্যসভায়। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা যত দিন অধীর চৌধুরী রয়েছেন, তত দিন সেটুকুও সম্ভব নয় বলেই জানাচ্ছে তৃণমূল সূত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy