ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা ভারত বন্ধে গোটা দেশ জুড়ে মিশ্র সাড়া পাওয়া গেল। এক দিকে যেমন বুধবারের বন্ধে দেশ জুড়ে প্রায় ১৫ কোটি শ্রমিক কাজে যোগ দেননি, ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য পরিষেবা কিছুটা হলেও ব্যাহত হয়েছে, তেমনই জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে সচেষ্ট হয়েছে সরকারও।
নয়াদিল্লিতে বন্ধে স্বতস্ফূর্ত ভাবে যোগ দিয়েছে অটোরিকশা ইউনিয়নগুলি। ফলে, সেখানে যানচলাচল অন্য দিনের তুলনায় অনেকটাই কম। তবে, তামিলনাড়ুতে যানচলাচল-সংক্রান্ত কোনও রকম সমস্যা চোখে পড়েনি। রোজকার মতোই সেখানে সরকারি এবং বেসরকারি বাস চলছে পুরোদমে। তবে, দেশ জুড়ে অনেক প্রতিষ্ঠানেই গণ্ডগোলের আশঙ্কায় বহু কর্মচারী কাজে যোগ দেননি।
দেখুন গ্যালারি:
অন্য দিকে, ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা এই ভারত বন্ধে শ্রমিক সংগঠনগুলির তরফেও মিশ্র সাড়া পাওয়া গিয়েছে। ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘর মতো বিজেপি-সমর্থিত ট্রেড ইউনিয়ন এবং ন্যাশনাল ফ্রন্ট অব ট্রেড ইউনিয়ন এ দিনের বন্ধে যোগ দেয়নি। সরকার এই বন্ধ প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলেও অনেক ট্রেড ইউনিয়ন-ই তা উপেক্ষা করেছে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী বন্দারু দত্তাত্রেয় জানান, বন্ধ চলছে ঠিকই, তবে তার প্রভাব জনজীবনে খুব একটা পড়বে না বলেই তাঁর আশা! তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করে ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘও দাবি করেছে, এই বন্ধ ব্যাঙ্ক, বিদ্যুৎ গ্যাস ও জল সরবরাহের উপর কোনও রকম প্রভাব ফেলবে না। শ্রমিকদের ১২ দফা দাবিকে সমর্থন করলেও ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ বন্ধ সংস্কৃতির বিপক্ষেই মত দিয়েছে।
সরকারের তরফেও জানানো হয়েছে যে এই ১২ দফা দাবি নিয়ে ট্রেড ইউনিয়নগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী বন্দারু দত্তাত্রেয় এ দিন বলেন, “আমরা ট্রেড ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে কোনও রকম সংঘাতে যেতে চাই না। যে কোনও মূল্যে শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখাটাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy